শেষ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
আঞ্চলিক আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, পণ্য-পরিষেবা কর আদায় মার খাচ্ছে দেখে নভেম্বরে আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর নিদান দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু এই তল্লাটে তো বটেই, সারা দেশেও সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার ধারেপাশে পৌঁছনো যায়নি এখনও। হাতে গোনা বাকি ক’দিনে আশ্চর্যের কিছু না ঘটলে, ওই কর আদায়ে এ বার বড় ঘাটতির আশঙ্কা।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম জোনে লক্ষ্যমাত্রা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা কম আদায় করতে পেরেছেন অফিসারেরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সারা দেশের লক্ষ্যমাত্রা ৭৭,১৮৯ কোটি টাকা দূরে। শুক্র ও শনিবারে কিছু সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের তরফে আরও কিছু টাকা ভাঁড়ারে এলেও, তাতে লক্ষ্য ছোঁয়া শক্ত।
২০১৭ সালের এপ্রিলে অর্থবর্ষের শুরুতে সারা দেশ থেকে আয়কর আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১,৮৯১ কোটি। কিন্তু, সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেশের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ ৫ হাজার কোটি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৪২,৫৪৭ কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু, বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রা তো দূর অস্ত্, আগের লক্ষ্যমাত্রাকেও এ বার ছুঁতে পারেনি আয়কর দফতর।
অফিসারদের অভিযোগ, লক্ষ্য বাড়ার পরে ছ’বছর আগে কেউ কর ফাঁকি দিয়েছেন কি না, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। অফিসারদের দাবি, ‘‘শেষ লগ্নে যখন আয়কর আদায়ে হিমসিম, তখন নতুন এই দায়িত্বে আটকে পড়েন অফিসারেরা।’’
আয়কর সূত্রে খবর, কর ফাঁকির অভিযোগ পেলে, কেন্দ্র মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতায় ইতিমধ্যে ১০০টি এ রকম মামলা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই ভুয়ো সংস্থা।