সম্প্রতি ভারতীয় অর্থনীতির ৭% হারে বৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে ঠারেঠোরে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ৭% বৃদ্ধির দেশে চাকরি নেই, এমন হয় কি? ভোটের মুখে এর জবাবে ফের সেই হিসেব মাপার যথার্থ পদ্ধতি না থাকার যুক্তিই তুলে ধরলেন বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের বিবর্ণ ছবি নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে বারবার যে যুক্তিকে হাতিয়ার করছেন সরকারের প্রতিনিধিরা। প্রভুর দাবি, ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে। তৈরি হচ্ছে চাকরিও। তবে এই বদলগুলি বুঝতে উপযুক্ত পরিসংখ্যানের ব্যবস্থা করা জরুরি। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তা-ই যদি হয়, তবে গত পাঁচ বছরেও হিসেব মাপার সেই পদ্ধতি আনা গেল না কেন? কেনই বা এই খামতি ধরতে এতখানি সময় লাগল সরকারের?
তিনি বলেন, এ দেশে জিডিপি-র ১৬% কৃষি থেকে আসে, অথচ তাতে জড়িয়ে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘তা হলে, জিডিপি এবং নতুন কাজের সম্পর্কটা কী দাঁড়াল?’’ স্টার্ট-আপের হাত ধরে বিপুল কাজের সুযোগ খোলার কথাও বলেছেন প্রভু। একই সঙ্গে খাড়া করেছেন সেই যুক্তি, সরকারের আসল চ্যালেঞ্জ তার পরিসংখ্যান জোগাড় করা।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে কর্মসংস্থানের বিবর্ণ ছবি নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টগুলি যে ভোটের মুখে কেন্দ্রের মাথাব্যথার বড় কারণ, তা প্রভুর এই সওয়ালে স্পষ্ট। সম্প্রতি এনএসএসও-র ফাঁস হওয়া রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্ব ছিল ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। ১৯৯৩-৯৪ সালের পরে প্রথমবার পুরুষ কর্মী কমেছে। সিএমআইই জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বেরের পরে সব থেকে বেশি। উপদেষ্টা সংস্থা অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার ও রেটিং সংস্থা ফিচেরও দাবি, এ দেশে কাজের বাজারের অবস্থা ভয়াবহ, হতাশাজনক।