বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
প্রথম দিনের বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় দিনের শেষে সব মিলিয়ে এ বছরে তা মোট দাঁড়াল ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। দু’দিন ব্যাপী বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের শেষ দিনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার থেকেই এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। ওই দিনই রাজ্য ২৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব পায় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত দু’বছরে ৪ লক্ষ ৯৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে রাজ্যে। আর এ বছরে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন সংস্থা ছাড়াও বিদেশি সংস্থাও এ রাজ্যে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশেষ করে ব্যবসার গাঁটছড়া বাঁধতে চিন, ইতালি এবং জাপান ভীষণ ভাবে উৎসাহ দেখিয়েছে।
এই নিয়ে তৃতীয় বছরে পা দিল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জাঁকজমক বাড়িয়ে শিল্পকর্তাদের সঙ্গে সংখ্যায় পাল্লা দিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদ। ছিলেন বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চিয়নের মেয়র থেকে শুরু করে জার্মানি, চিন, পোল্যান্ড, জাপান, ইতালি, নেদারল্যান্ড মিলিয়ে মোট বিশ্বের ২৯টি দেশের প্রতিনিধিরা। আর শিল্পমহলের তরফে ছিলেন ভারতী এন্টারপ্রাইজের রাকেশ ভারতী মিত্তল, ফিউচার গোষ্ঠীর কিশোর বিয়ানি, টিসিজি গোষ্ঠীর পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, হিরো সাইকেলের পবন মুঞ্জল, আরপিএসজি গোষ্ঠীর সঞ্জীব গোয়েন্কা, জেকে পেপারের হর্ষপতি সিঙ্ঘানিয়া, টিআইএলের সুমিত মজুমদারের মতো পরিচিত মুখ।
পরিসংখ্যান দিয়ে এ দিন মমতা জানান, গত পাঁচ বছরে রাজ্যের অর্থনীতির মাপ ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৫ লক্ষ কোটিতে। রাজ্যের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সওয়ালও করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: শিল্প সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের অঙ্ক ২৭ হাজার কোটি টাকা