পর্যটনের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে মেলা হবে বিষ্ণুপুরে।
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল জানান, পর্যটন দফতরের উদ্যোগে মেলা হবে তিন দিনের। ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্য এবং বাইরের ট্যুর অপারেটরদের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার প্রথম দিনেই বিষ্ণুপুর মহকুমার সরকারি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন হবে। ওয়েবসাইটটিতে থাকবে বিভিন্ন বেড়ানোর জায়গার ছবি আর সুলুকসন্ধান।
বিষ্ণুপুর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলমাদল রোডের শেষ প্রান্তে জোড়শ্রেণি মন্দির। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। মাস দুয়েক আগেও জায়গাটা ছিল ঝোপঝাড়ে ভরা। মহকুমা প্রশাসন স্থায়ী সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে তুলেছে। ছড়িয়ে থাকা মাকড়া পাথরের চাঁই সাজিয়ে তৈরি হয়েছে দর্শকদের বসার জায়গা। ছোট সবুজ গাছের ফাঁক দিয়ে বিছিয়ে রয়ছে লাল মোরামের পথ। মুক্ত মঞ্চের পিছনে সারি দিয়ে রাধামাধব, রাধাগোবিন্দ আর কালাচাঁদ মন্দির। শহরের নৃত্যশিল্পী কৃষ্ণেন্দু রায়, অমৃতা কুণ্ডু, প্রিয়াঙ্গী চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘এই মঞ্চে অনুষ্ঠান করার জন্য মুখিয়ে আছি।’’
আজ, বৃহস্পতিবর মেলা নিয়ে মহকুমাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা অনুষ্ঠান করবে। শহরের বাইরে থেকেও আসবেন শিল্পীরা। থাকবে স্থানীয় খাবারের স্টল।
তবে গাইড অঞ্জন লাহা, অসিত দাসরা বলছেন, ‘‘দিন পনেরো পরে পর্যটকের ঢল নামবে। মহকুমা প্রশাসন বেশ কিছু শৌচাগার চালু করলেও অধিকাংশ সময়ে সেগুলি বন্ধ থাকে। মন্দিরের আলোগুলোও বন্ধ।’’ পর্যটকদের কয়েক জন সঙ্গে কথা বলে শোনা গেল আরও কিছু দাবি। তার মধ্যে রয়েছে টোট বা অটোর নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা করে দেওয়া, রুট বেঁধে দেওয়া ইত্যাদি।