বিভেদ ঘুচুক বাণিজ্যের বড়িতে, আর্জি বাসিতের

কথায় বরফ গলে। আর সীমান্ত টপকে দু’দেশের বাণিজ্য বাড়লে মাথা নোয়ায় রাজনীতির কাঁটাতার। তাই বিভেদের বেড়া টপকে ভারত-পাকিস্তানকে কাছাকাছি আনতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উপরই জোর দিচ্ছেন এ দেশে পড়শি মুলুকটির হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৯
Share:

আব্দুল বাসিত। —নিজস্ব চিত্র।

কথায় বরফ গলে। আর সীমান্ত টপকে দু’দেশের বাণিজ্য বাড়লে মাথা নোয়ায় রাজনীতির কাঁটাতার। তাই বিভেদের বেড়া টপকে ভারত-পাকিস্তানকে কাছাকাছি আনতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির উপরই জোর দিচ্ছেন এ দেশে পড়শি মুলুকটির হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। তাঁর আশ্বাস, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেই পাকিস্তানে আরও বেশি পণ্য বেচার সুযোগ করে দিতে ভারতকে বিশেষ মর্যাদা (নন ডিসক্রিমেটরি মার্কেটিং অ্যাকসেস বা এনডিএমএ) দেবে পাক সরকার।

Advertisement

তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন বাসিত। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের আগের দিন ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্সের আমন্ত্রণে শিল্প-কর্তাদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে বাসিত বলেন, সম্ভাবনার তুলনায় দু’দেশের বাণিজ্য নিতান্ত কম। ২৭০ কোটি ডলার। শুল্ক ছাড়াও অন্য বিধিনিষেধ দূর হলে, ৫-১০ বছরে যা ২,০০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে।

বাসিতের মতে, এর জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন দু’দেশের মধ্যে দ্রুত আলোচনা শুরু হওয়া। তা হলেই পাকিস্তান ভারতকে ‘এনডিএমএ’ মর্যাদা দিতে তৈরি। ১৯৯৬ সালে ভারত পাকিস্তানকে বাণিজ্যে অগ্রাধিকার পাওয়া দেশের (মোস্ট ফেভার্ড নেশন বা এমএফএন) স্বীকৃতি দিলেও, ভারতকে পাল্টা স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের অন্দরেই যে আপত্তি ছিল, তা মেনে নেন বাসিত। এখনও সেই কারণেই ভারতকে এমএফএন-এর বদলে এনডিএমএ–র তকমা দিতে চায় পাকিস্তান।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল সমস্যা মেটানো নিয়েও বাসিতের বক্তব্য, সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু খোলা মনে কথা বললে সমাধান সম্ভব। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কথা না-বললে সমাধান হবে কী করে?’’

কলকাতায় এক সময় পাকিস্তানের কনস্যুলেট থাকার কথা উল্লেখ করে বাসিত বলেন, তাঁর আশা, ফের এক দিন তা চালু হবে। তৈরি হবে উড়ান যোগাযোগও। তাঁর কথায়, ‘‘হয়তো আমাদের প্রজন্ম দু’দেশকে কাছে আনতে ব্যর্থ। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তা পারতেও পারে।’’

আগামীকে নতুন সুরে বাঁধতে ডিসেম্বরে ভারত বা দুবাইয়ে দু’দেশের মধ্যে ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের কাজ করছেন তাঁরা। এমনকী বণিক মহলের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের খেলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করুন। আর ভারত-বাংলাদেশের খেলায় আমি না হয় থাকব ভারতের দিকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন