একই দিনে দরজা বন্ধ দুই চটকলে 

একই দিনে বন্ধ হয়ে গেল হুগলির দু’টি চটকল। সোমবার ভোরে ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক এবং রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কাজ হারালেন দুই কারখানার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৪
Share:

একই দিনে বন্ধ হয়ে গেল হুগলির দু’টি চটকল। সোমবার ভোরে ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক এবং রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কাজ হারালেন দুই কারখানার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক।

Advertisement

নর্থব্রুক চটকল বন্ধের কারণ হিসেবে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করেছেন কর্তৃপক্ষ। কাজের পরিবেশ নষ্ট এবং উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগে এ দিন চার শ্রমিকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন তাঁরা। তার ভিত্তিতে লালাবাহাদুর দাস নামে এক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হেস্টিংস কর্তৃপক্ষ আবার জানিয়ে দিয়েছেন, মিল চালানোর মতো টাকা তাঁদের নেই। পাটের ভাঁড়ার শূন্য। পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা, অনৈতিক ধর্মঘট-সহ নানা কারণে সংস্থার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। যদিও মিলের আইএনটিটিইউসি সংগঠনের সহ-সভাপতি সাকির আলির অভিযোগ, ‘‘বাজার থেকে এত দেনা করা হয়েছে যে, কেউ পাট বা অন্য জিনিস দিচ্ছেন না।’’ ইদানীং সপ্তাহে চার দিন কাজ দেওয়া হচ্ছিল বলেও শ্রমিকদের দাবি।

Advertisement

রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজ্যের প্রায় সব চটকলই খোলা। হুগলির বন্ধ চটকলের বিষয়টি শ্রমমন্ত্রীর গোচরে আছে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যেমে নিশ্চয়ই সমাধানসূত্র বেরোবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন