প্রথমে বয়কট। পরে যোগদান। মঙ্গলবার কর্মী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের দুই সিদ্ধান্তেরই সাক্ষী থাকল কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফও) অছি পরিষদ। পিএফের তহবিলে পড়ে থাকা দাবিহীন টাকা দিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। তার বিরোধিতাতেই মঙ্গলবার প্রথমে অছি পরিষদের বৈঠক সাময়িক ভাবে বয়কট করেন ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। পরে তা না-করার প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই আলোচনায় যোগ দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে খারিজ করে দেন শেয়ার বাজারে পিএফের টাকা লগ্নির পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাবও।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ওই তহবিল গড়তে পিএফের দাবিহীন টাকা ব্যবহারের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। বৈঠকে তা উল্লেখ করেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদে বৈঠক বয়কট করে নেমে আসেন ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। পরে তাঁদের আলোচনায় যোগ দিতে রাজি করান শ্রমমন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়।
পরিষদের দুই সদস্য, এআইইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সাহা এবং ইনটাকের রাজ্য সভাপতি রমেন পান্ডে বলেন, ‘‘শ্রমমন্ত্রী কথা দিয়েছেন, পিএফের টাকা যাতে কল্যাণ তহবিলে ব্যবহার না হয়, তার জন্য তিনি উদ্যোগী হবেন। তারপরই বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হয়েছি।’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশেই ওই সার্কুলার জারি করা হয়েছিল।’’
পিএফের যে সব অ্যাকাউন্টে টানা তিন বছর টাকা জমা পড়ে না, সেগুলিকে দাবিহীন অ্যাকাউন্ট বলে ধরা হয়। কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেগুলিকে অব্যবহৃতের তকমা দেন। পিএফ দফতর সূত্রে খবর, ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। শঙ্করবাবু বলেন, ওই টাকার মালিক রয়েছেন। তাঁরা দাবি করলে, টাকা ফেরাতে হবে। তাই তা অন্য কাজে ব্যয় করা অনুচিত।