জিএসটি-র আওতায় যাঁরা প্রথম মাসের রিটার্ন নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জরিমানা মকুব করল কেন্দ্র। তবে বকেয়া করের উপর সুদ মেটানো থেকে রেহাই মেলেনি ব্যবসায়ীদের। ওই সুদ যথারীতি জমা দিতে হবে।
১ জুলাই থেকে চালু নতুন কর ব্যবস্থায় জিএসটি-র জন্য রিটার্ন ও কর জমার শেষ তারিখ ছিল ২৫ অগস্ট। প্রথম দফায় শুধু জুলাই-অগস্টের জন্য জিএসটিআর-৩বি ফর্ম দাখিল করে যাঁরা তা সময়ে দিতে পারেননি, তাঁরা আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এর জন্য ‘লেট ফি’ বা জরিমানা দিতে হবে না। পাশাপাশি, প্রথম বার জমা দেওয়া রিটার্নে কোনও ভুল থাকলে তা-ও সংশোধন করা যাবে ওই রিটার্নে। পাশাপাশি, যাঁরা জিএসটিআর-১ (বিক্রির জন্য), জিএসটিআর-২ (ব্যবসা চালাতে কেনা পণ্য বা পরিষেবা) এবং জিএসটিআর-৩ (সম্মিলিত মাসিক রিটার্ন) দাখিল করে চূড়ান্ত রিটার্ন জমা দেবেন, তাঁদের জন্যও জরিমানা মকুব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের বিক্রির জন্য চূড়ান্ত রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর। পণ্য উৎপাদন বা পরিষেবার জন্য যে-সব কাঁচামাল কিনতে হয়েছে, সেই খাতে রিটার্ন জমার শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে লেট ফি মকুবের কথা জানিয়েছে। তবে কর জমা বাকি থাকলে ২৬ অগস্ট থেকে প্রদেয় বকেয়া করের উপর সুদ মেটাতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ। প্রথম বার কম কর জমা দেওয়া হলে বাড়তি অঙ্ক বৈদ্যুতিন লেনদেন ব্যবস্থায় মেটানো যাবে। তবে সুদ হিসেব করা হবে বকেয়া করের সার্বিক অঙ্কের উপর। কেন্দ্রীয় জিএসটি (সিজিএসটি) ও রাজ্য জিএসটি (এসজিএসটি) আইন অনুসারে বাকি পড়া করের উপর সুদ দিতে হবে ১৮ শতাংশ হারে।
সিজিএসটি ও এসজিএসটি আইনে রিটার্ন জমায় দেরি হলে দিনে ১০০ টাকা করে লেট ফি ধার্য করা হয়েছে, আপাতত যা মকুব করল কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ে জিএসটি আদায় ছুঁয়েছে ৯২,২৮৩ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যের থেকে বেশি বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জিএসটি জুলাইয়ে চালু হওয়ার পর থেকে চলতি অর্থবর্ষেব বাকি আর ন’মাস। এই সময়ে কেন্দ্রের জিএসটি আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে প্রতি মাসে কেন্দ্রের ঘরে আসার কথা ৪৮ হাজার কোটি টাকা, রাজ্যগুলির ৪৩ হাজার কোটি। ফলে মোট ৯১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কেন্দ্র। তবে সর্বশেষ হিসেবে তা ৯২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেটলি বলেছেন, ৫৯.৫৭ লক্ষ নথিভুক্ত করদাতাদের মধ্যে ৩৮.৩৮ লক্ষ বা ৬৪.৪ শতাংশ এ পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন। সবাই কর জমা দিলে আদায় আরও বাড়বে।