Tajpur Port

Tajpur port: তাজপুর বন্দর নিয়ে রাজ্যকে বার্তা মন্ত্রীর

মন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম কলকাতা বন্দর (বর্তমানে যার নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট) পরিদর্শন করে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন শান্তনু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:১৭
Share:

শান্তনু ঠাকুর ফাইল চিত্র

রাজ্য জমি দিলে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে আগ্রহী কেন্দ্র। সোমবার কলকাতায় এ কথা জানালেন, বন্দর, জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আগে ঠিক ছিল কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ ভাবে তাজপুর বন্দর তৈরি করবে রাজ্য। তবে পরে রাজ্য সরকার তা একাই গড়ে তোলার কথা বলে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জলপথ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁরা কথা চালাচ্ছেন বলেও এ দিন জানিয়েছেন শান্তনু।

Advertisement

মন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম কলকাতা বন্দর (বর্তমানে যার নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট) পরিদর্শন করে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন শান্তনু। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। রাজ্য জমি দিলে এবং প্রয়োজনীয় শর্তগুলি মানলে তাজপুরে এখনও বন্দর তৈরি করতে ইচ্ছুক কেন্দ্র।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, রাজ্য চাইলে নিজেরা বন্দর গড়তেই পারে। কিন্তু এটা এমন পরিকাঠামো যেখানে কেন্দ্রের সাহায্য লাগে। কারণ, তার সঙ্গে রেলের মতো পরিকাঠামো লাগে। ফলে কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়।

এ দিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামো গড়তে কেন্দ্র বিশেষ আগ্রহী বলে জানিয়ে এ দিন শান্তনু বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীকে ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশেষ কিছু অঞ্চলে জলপথ পরিকাঠামো গড়তে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ জরুরি। এর জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইতিমধ্যেই জলপথ উন্নয়নের ২০টি প্রকল্প কেন্দ্র হাতে নিয়েছে বলে জানান শান্তনুবাবু। সারা দেশে ১১১টি।

Advertisement

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানান, বন্দর এবং সংলগ্ন এলাকার পরিকাঠামো গড়তে ইতিমধ্যেই ১৮টি প্রকল্পে তাঁরা ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে রেল লাইন বসানো, সাগরে বার্জের জেটি, ওভারব্রিজ, রাস্তা তৈরি, বন্দরের কর্মীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাড়ি তৈরি ইত্যাদি রয়েছে।

বিনীতবাবু জানান, বন্দরে কন্টেনারে পণ্য তোলা-নামানো ইত্যাদির পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ২০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন