প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআই ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। ডিজিটাল লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করল সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাটির নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (এনপিসিআই)। সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে নতুন নিয়ম। এর জেরে ইউপিআইয়ের ব্যবহার কয়েক গুণ বাড়বে বলেই আশাবাদী তারা।
সম্প্রতি, ডিজিটাল লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনপিসিআই। সেখানে বলা হয়েছে, এ বার থেকে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর মেটাতে পারবেন গ্রাহক। এ ছাড়া বিমা, মিউচুয়াল ফান্ড এবং শেয়ার বাজারে লগ্নিতে দিনে (প্রতি ২৪ ঘণ্টায়) সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী।
উল্লেখ্য, এত দিন পর্যন্ত বিমা, স্টক এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ইউপিআই করা যেত। বাজারের চাহিদা মেনে তা পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা হল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনপিসিআই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ বা আইপিও লগ্নিতে এর ঊর্ধ্বসীমা ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। সেই নিয়মের কোনও বদল করেনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইউপিআইয়ের মাধ্যমে কর জমা করতে গ্রাহকদের একটি ‘মার্চেন্ট ক্যাটেগরি কোড’ বা এমসিসি ব্যবহার করতে হয়। সেই সংখ্যাটি হল ৯৩১১। এর সাহায্যে সরাসরি সরকারের ই-মার্কেটপ্লেসে প্রদেয় করের অর্থ জমা করতে পারেন তাঁরা। সেখানেও ইউপিআইয়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে এনপিসিআই। এতে একবারে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন গ্রাহক। দিনে সর্বোচ্চ দেওয়া যাবে ১০ লাখ।
এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট এবং ঋণ বা ‘ব্যবসা থেকে ব্যবসা’ (বি২বি) লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি করেছে ইউপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। নতুন নিয়মে ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টের প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে পারবেন গ্রাহক। দিনে (পড়ুন প্রতি ২৪ ঘণ্টা) অবশ্য সর্বাধিক ছ’লক্ষ টাকা দেওয়া যাবে। অন্য দিকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ এই অঙ্ক ১০ লক্ষ করেছে এনপিসিআই।
তবে ক্রেডিট কার্ড ও ঋণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কেবলমাত্র যাচাইকৃত ব্যবসায়ী অ্যাকাউন্টগুলিতেই প্রযোজ্য হবে বলে সার্কুলারে স্পষ্ট করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে, সরাসরি লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা রেখেছে তারা।