চমক: সাংবাদিক বৈঠকে পটেল। শুক্রবার মুম্বইয়ে। এএফপি
নিদেন পক্ষে ২৫ বেসিস পয়েন্ট তো বটেই, সুদ বাড়তে পারে এমনকি ৫০ বেসিস পয়েন্টও। এ বারের ঋণনীতিতে সুদ বাড়া যেন প্রায় সময়ের অপেক্ষা বলেই ধরে নিয়েছিল শেয়ার বাজার। একই কথা বলেছিলেন বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞও। কিন্তু সেখানে প্রায় সকলকে চমকে দিয়ে এ বারের মতো সুদ একই রাখার কথা জানাল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে নতুন করে বাড়ি, গাড়ি ঋণের কিস্তি এখন আর না বাড়ারই কথা। তেমনই সম্ভাবনা কম জমায় ফের এক দফা সুদ বৃদ্ধিরও।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, রেপো রেট (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি স্বল্প মেয়াদে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে যে সুদে ধার নেয়) ও রিভার্স রেপো রেট (ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদে ধার নেয়) একই থাকছে। পাল্টাচ্ছে না ব্যাঙ্ক রেট ও নগদ জমার অনুপাতও (সিআরআর)।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের কথায় স্পষ্ট যে, এই মুহূর্তে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি থেকেও বেশি তাদের চিন্তায় রেখেছে আগামী দিনে তা মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। এই মুহূর্তে খাদ্যপণ্যের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া না হওয়ায় সামান্য স্বস্তিতে তারা। কিন্তু তেমনই বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরে আরও বৃদ্ধি সেই খাদের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিতেও ভোলেনি। তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম নিয়ে গভর্নর উর্জিত পটেলের দাবি, বাজারের চাহিদা-জোগানের নিয়মেই টাকা তার সঠিক দর খুঁজে নেবে।
টাকা আর তেলের দরের কারণেই সুদ বৃদ্ধির সিঁদুরে মেঘ দেখছিল কেন্দ্র ও শিল্প। চিন্তা ছিল, তাতে শিল্পের পক্ষে মূলধন সংগ্রহের খরচ বাড়বে। ভাটা পড়তে পারে চাহিদাতেও। সুদ-নির্ভর শিল্প হিসেবে পরিচিত আবাসন ও গাড়ি শিল্প সে কথা জানিয়েওছিল। আশঙ্কা সত্যি না হওয়ায় তারা খুশি।
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেন, কেন্দ্রের মতো শীর্ষ ব্যাঙ্কও মনে করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। বৃদ্ধি পূর্বাভাস ছাপিয়ে যাবে বলেও তাঁর দাবি।