নোট বাতিলের মতো সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনায় মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে থেকেছেন তিনি। কত কালো টাকা ফেরত এল, তা নিয়ে এখনও সোজাসাপ্টা বিবৃতি মেলেনি। অথচ সেই উর্জিত পটেলই বুধবার স্পষ্ট জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে না-যাওয়ার কথা!
নোট বাতিলের আগে তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছেন। নোট নাকচের জেরে কৃষিপণ্যের দামে ধস নামার কথা মেনেও ‘পাশে দাঁড়িয়েছেন’ ওই সিদ্ধান্তের। বলেছেন, অর্থনীতির হাল আসলে খারাপ হতে শুরু করেছিল আগে থেকেই! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিতকে নিয়ে তাই এখন রাজধানীতে জোর জল্পনা। তবে কি তাঁর ‘আনুগত্য ও সমর্থন’ শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি?
এ বার সুদ ঠিক করতে বৈঠকে বসার আগে আলোচনার জন্য ঋণনীতি কমিটির সদস্যদের ডেকেছিল অর্থ মন্ত্রক। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা বজায় রাখার স্বার্থে ‘না’ করে দেন আলোচনার প্রস্তাবে। বুধবার পটেল জানান, ‘‘অর্থ মন্ত্রকের অনুরোধ ফিরিয়েছেন কমিটির সব সদস্য।’’
এমনিতে ঋণনীতি ঠিক করার আগে ওই কমিটির সদস্যদের এ ভাবে বৈঠকে ডাকার কথা আগে শোনা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, এর মাধ্যমে কি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র? অনেকের মতে, সে দিক থেকে পটেলের বিবৃতি প্রশংসনীয়। কিন্তু যে পটেল নোট বাতিল প্রসঙ্গে আগাগোড়া প্রায় চুপ থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা ও ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর এমন ‘সাহসী’ বিবৃতিতে অবাক হয়েছেন অনেকে।
সেই জল্পনায় অবশ্য ঘি ঢেলেছে সুদ না-কমানো নিয়ে জেটলির মুখ্য উপদেষ্টা ও তাঁর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের কড়া মন্তব্য। রাজধানীতে গুঞ্জন, মোদীর ‘আস্থা’ আছে বলেই এমন মেরুদণ্ড দেখাতে পারলেন উর্জিত।