আগামী মাসের মাঝামাঝি ফের গোয়ায় বিজয় মাল্যের কিংগ্ফিশার ভিলা নিলামে তুলতে পারে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ বারে ন্যূনতম দর রাখা হতে পারে ৮৫ কোটি টাকা। কয়েক দিনের মধ্যেই নিলাম নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা।
২০১০ সালে ঋণ পাওয়ার জন্য এই ভিলা বন্ধক হিসেবে রেখেছিল কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স। সেটির মালিকানা ছিল ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ হোল্ডিংসের হাতে। গত মে মাসেই মূল সংস্থাটির সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে সেটি হাতে এসেছে ব্যাঙ্কগুলির। তার পরে তা নিলামে তোলা হলেও, এই বিলাসবহুল ভিলা কিনতে আগ্রহ দেখাননি কেউ।
ঋণের টাকা উদ্ধার করতে এর আগে মাল্যের সম্পত্তি নিলামের চেষ্টা করেছে স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম। যার মধ্যে ছিল, মুম্বইয়ে কিংগ্ফিশার হাউস ও তার ভিতরে থাকা আসবাব, মাল্যের নিজস্ব বিমান, গোয়ার এই কিংগ্ফিশার ভিলা ইত্যাদি। এ ছাড়াও, ‘কিংগ্ফিশার’ লোগো, ‘ফ্লাই দ্য গুড টাইমস’-এর মতো ট্যাগলাইন, ‘ফ্লাইং মডেলস’, ‘ফানলাইনার’, ‘ফ্লাই কিংগ্ফিশার’, ‘ফ্লাইং বার্ড ডিভাইস’ ইত্যাদি ট্রেডমার্কও নিলামে তোলে ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু কোনও বারেই সাড়া মেলেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে যার কারণ ছিল মূলত দু’টি—
প্রথমত, নিলামে ন্যূনতম দর অনেক বেশি রাখা হয়েছিল। বিমান পরিষেবা সংস্থাটির ভাল সময়ে শুধুমাত্র কিংগ্ফিশার ব্র্যান্ডেরই মূল্য ৪,০০০ কোটি টাকার বেশি ছিল বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক উপদেষ্ট সংস্থা। কিন্তু এখন তা-ই ৬ কোটি টাকাও হবে না বলে মনে করছে তারা। অথচ এই অবস্থায় নিলামের ন্যূনতম দর রাখা হয়েছিল ৩০০ কোটিরও বেশি। সে ক্ষেত্রে কেন কেউ স্বেচ্ছায় এগুলি কিনতে চাইবে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
দ্বিতীয়ত, নিলামের কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই কিংগ্ফিশারের মূল সংস্থা মাল্যের ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ গোষ্ঠী হুমকি দিয়েছিল, নিলামে ওঠা তাদের এই লোগো একমাত্র বিমান পরিষেবা সংস্থা তৈরির ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনও ক্ষেত্রে যদি সেই নাম ব্যবহার হয়, তা হলে আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা।
এ ছাড়া, মাল্যের নিজস্ব ব্যবহারের বিমানও একাধিক বার নিলামে তোলে পরিষেবা কর দফতর। শেষ বারে সেটি কিনতে ২৭ কোটি টাকা দর হাঁকে এসজিআই কোমেক্স। যা ন্যূনতম দরের (১৫২ কোটি টাকা) তুলনায় অনেকটাই কম। তাই সেই নিলাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর দফতর।