আর দু’বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোর কথা ঘোষণা করল বিস্তারা। ভারতের টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বিমান সংস্থা দেশের আকাশে ডানা মেলেছে এ বছরের জানুয়ারিতে। কলকাতা থেকে এখনই উড়ান চালানোর পরিকল্পনা না-থাকলেও সম্প্রতি তারা বাগডোগরা থেকে উড়ান চালানোর কথা জানিয়েছে। এ বার তারা জানাল আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা চালুর কথা।
এই মুহূর্তে ভারতের বিমান মন্ত্রকের শর্ত অনুযায়ী, ন্যূনতম পাঁচ বছর উড়ান চালানোর পরে এবং ২০টি বিমান হাতে থাকলে তবেই কোনও বিমান সংস্থাকে ভারত থেকে বিদেশে উড়ান চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, বিভিন্ন বিমান সংস্থার চাপে সম্প্রতি সেই নিয়ম শিথিল করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিস্তারার সিইও ফি টেক ইও জানিয়েছেন, তাঁরা এই নিয়ম শিথিল করার পক্ষে। দু’বছরের মধ্যে বিস্তারা বিদেশে উড়ান চালাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। সেই লক্ষ্যে তাঁরা বিমান কেনার পরিকল্পনাও করছেন।
দেশের বাজারে এই মুহূর্তে কম খরচের বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিগো। মালয়েশিয়ার বিমান সংস্থা এয়ার এশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এমনই এক কম খরচের বিমান পরিষেবা সংস্থা তৈরি করেছে টাটা গোষ্ঠী। তারা পশ্চিম ভারতে উড়ান চালাচ্ছে। সেই বিমান সংস্থা ‘এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া’-ও এখনও পর্যন্ত কলকাতায় আসেনি।
এর পাশাপাশি সমস্ত ধরনের পরিষেবা দিয়ে বেশি দামের টিকিটে যাতায়াত করার জন্য বিস্তারা তৈরি করেছে টাটা। সংস্থার সিইও জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে আন্তর্জাতিক উড়ানের ৭০ শতাংশ যাত্রীই যান পশ্চিমের দেশগুলিতে। তাই, ঠিক হয়েছে বিদেশে ওড়ার অনুমতি পেলে প্রথমেই পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকায় পরিষেবা চালু করা হবে। বেশি দামের টিকিট কাটা যাত্রীদের জন্য বিদেশের মতো লাউঞ্জ তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি — প্রথম দু’মাসে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পায়নি বিস্তারা।