বকেয়ার বোঝা কাঁধে উদ্বিগ্ন বণ্টন সংস্থা 

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বণ্টন সংস্থার নিয়ন্ত্রিত সম্পদের কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন খাতে ক্ষতি কমিয়ে আয়ের পথ মসৃণ করার চেষ্টা চলছে। 

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০২:১৮
Share:

গত কয়েক বছরে রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবার আয়তন যেমন বেড়েছে, তেমনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে নানা খরচ ও ক্ষতির বহর। এরই পাশাপাশি প্রাপ্য বকেয়ার অঙ্ক বাড়ায় কিছুটা চাপে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। বিদ্যুৎ শিল্প সূত্রের খবর, এর মধ্যে রেগুলেটরি অ্যাসেট বা নিয়ন্ত্রিত সম্পদের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা।

Advertisement

নিয়ন্ত্রিত সম্পদ কী?

বণ্টন সংস্থা সূত্রের বক্তব্য, প্রত্যেক অর্থবর্ষের শুরুতে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে নতুন বিদ্যুৎ মাসুলের জন্য আবেদন করে থাকে তারা। একই সঙ্গে, আগের অর্থবর্ষে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে গিয়ে সংস্থাটির বিভিন্ন খাতে যে বাড়তি খরচ বা ক্ষতি হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে মাসুলের মাধ্যমে তার যে অংশ তোলা যেতে পারে, তারও একটি হিসেব দেওয়া হয়। এর মধ্যে কমিশন যেগুলিকে ন্যায্য পাওনা বলে বিবেচনা করে এবং ভবিষ্যতে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে ধরে রাখে, তাকেই বলা হয় নিয়ন্ত্রিত সম্পদ। সূত্রের খবর, এই নিয়ন্ত্রিত সম্পদের অঙ্ক নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বণ্টন সংস্থার দ্বিমত রয়েছে। তবে ঘটনা যা-ই হোক, পরিষেবা চালাতে বণ্টন সংস্থাকে বিপুল ব্যাঙ্ক ঋণের উপরে ভরসা করেই চলতে হচ্ছে।

Advertisement

এক বিদ্যুৎ কর্তার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি এখন যা, তাতে ন্যায্য পাওনার কিছু অংশও যদি কমিশন মাসুলের মাধ্যমে তোলার অনুমতি দেয়, তা হলেই রাজ্যের গড় বিদ্যুৎ মাসুল ইউনিট পিছু ৭.১২ টাকা থেকে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে। আবার মাসুল নিয়ন্ত্রণে রেখে বণ্টন সংস্থার পাশে দাঁড়াতে গেলে রাজ্য সরকারকেই বাজার থেকে ঋণ নিয়ে ভর্তুকি জোগাতে হবে।’’

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বণ্টন সংস্থার নিয়ন্ত্রিত সম্পদের কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন খাতে ক্ষতি কমিয়ে আয়ের পথ মসৃণ করার চেষ্টা চলছে।

বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, অন্যান্য রাজ্যের বণ্টন সংস্থাগুলিরও প্রতি বছর নিয়ন্ত্রিত সম্পদ তৈরি হয়। রেগুলেটরি অ্যাসেটের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন