২৮টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আওতায় কাজ করবে ২২,০০০টি শাখা। —প্রতীকী চিত্র।
সারা দেশে ছিল ৪৩টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। কমে হয়েছে ২৮টি। বৃহস্পতিবার, ১ মে থেকে কেন্দ্রের ‘এক রাজ্য এক আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (আরআরবি)’ নীতি কার্যকর হওয়ার হাত ধরেই কাজ শুরু করে দিল সেগুলি। কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস) জানিয়েছে, ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৬টি আরআরবি-কে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি করে থাকে। এর ফলেই দেশেসেগুলির মোট সংখ্যা ৪৩ থেকে কমে হয়েছে ২৮টি।
ডিএফএস জানিয়েছে, এই ২৮টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আওতায় কাজ করবে ২২,০০০টি শাখা। ৭০০ জেলায় ওই শাখাগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। আগে এক একটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের আওতায় এক একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কাজ করত। ওই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটিকেই বলা হত স্পনসর ব্যাঙ্ক। নতুন ব্যবস্থায় একটি রাজ্যে সেখানকার সব আরআরবিকে মিশিয়ে দিয়ে একটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)। এর আগে রাজ্যে তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক তিনটি আরআরবি চালাত। বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের স্পনসর ব্যাঙ্ক ছিল পিএনবি। পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ছিল ইউকো ব্যাঙ্কের আওতায়। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পরিচালনা করত উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। নতুন ব্যবস্থায় তিনটি মিশেছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে। সেটিরই পরিচালনার ভার পিএনবি-র।
প্রতিটি রাজ্যে একটি করে বড় আকারের আরআরবি রাখার লক্ষ্য, পরিষেবার পরোক্ষ খরচ কমিয়ে আয় এবং মুনাফা বাড়ানো। সেগুলিকে চাঙ্গা করা আর্থিক ভাবে। দক্ষ করা পরিচালন ব্যবস্থা। কেন্দ্রের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই সংযুক্তির উদ্যোগ। এতে একটির আওতায় আসবে অনেক বেশি অঞ্চল। গ্রাহক বাড়বে। অথচ খরচ কমবে। ব্যবহার করা যাবে উন্নত প্রযুক্তি। বাড়বে মূলধন। সব মিলিয়ে আরও দক্ষ ভাবে আমজনতাকে পরিষেবা দিতে পারবে তারা। ব্যাঙ্কগুলির আওতাভুক্ত এলাকার উন্নয়ন এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির নিজেদের স্বার্থ রক্ষাও হবে এতে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগেই জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রক।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে