এখনও শঙ্কা ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে

পুরনো অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধার করে ব্যাঙ্কের ক্ষতি মোছা তো দূরের কথা, চলতি অর্থবর্ষেও ওই সম্পদের বহর বাড়ার আশঙ্কা। শনিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ব্যাঙ্ক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক সভায় এই মন্তব্য করেন একজিম ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস মল্লিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২১
Share:

পুরনো অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধার করে ব্যাঙ্কের ক্ষতি মোছা তো দূরের কথা, চলতি অর্থবর্ষেও ওই সম্পদের বহর বাড়ার আশঙ্কা। শনিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ব্যাঙ্ক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক সভায় এই মন্তব্য করেন একজিম ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস মল্লিক।

Advertisement

দেশে শিল্পের তেমন চাঙ্গা না-হওয়াকেই এর জন্য দায়ী করেছেন দেবাশিসবাবু। অর্থনীতির সার্বিক উন্নতি না-হলে শিল্পের হালও ফিরবে না। তাই অনুৎপাদক সম্পদে তড়িঘড়ি রাশ টানা কঠিন বলে মনে করেন তিনি।

ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা নিয়ে চিন্তিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। তাই সম্প্রতি শিল্পে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ায় কিছু নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে তারা। যেমন, একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ঋণ পাওয়ার পরে কোনও সংস্থা আরও ঋণ চাইলে তার অর্ধেকের বেশি দেওয়া যাবে না। বাকিটা সংস্থাকে শেয়ার বা বন্ডের বাজার থেকে জোগাড় করতে হবে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি পি কে গুপ্ত বলেন, ‘‘যে-সব সংস্থা ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ হাজার কোটি ধার নিয়ে ফেলেছে, আরবিআইয়ের নির্দেশ মতো তারা ২০১৭ সালে ফের ঋণ চাইলে আবেদনের অর্ধেকের বেশি ব্যাঙ্ক দিতে পারবে না। ২০১৮ সালে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার পরেই ওই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০১৯ সালে তা আরও কমে হবে ১০ হাজার কোটি।’’ বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘ঋণ দেওয়ার ঝুঁকির পুরোটা যাতে শুধু ব্যাঙ্কগুলিকেই বইতে না-হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা।’’

পাশাপাশি, মূলধন জোগাড়ে শিল্প সংস্থা বন্ড বাজারের দরজায় কড়া নাড়লে ওই বাজারও পোক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। তাঁদের মতে, ভারতে বন্ডের বাজার এখনও শৈশব কাটিয়ে ওঠেনি। অথচ তুলনায় কম সুদে দীর্ঘ মেয়াদে মূলধন সংগ্রহের এটি ভাল রাস্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন