জনধন প্রকল্প শুরুর পরে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছে অন্তত ৩০ কোটি পরিবার। অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে কোনও টাকা না-রাখার (জিরো ব্যালান্স) প্রবণতাও কমছে দ্রুত। সকলের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ায় সাফল্যের খতিয়ান পেশ করতে গিয়ে বুধবার এই দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
২০১৪ সালের ২৭ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী জনধন প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। মূল লক্ষ্য ছিল, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সকলের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। গোড়া থেকেই এ নিয়ে একের পর এক সাফল্য দাবি করে এসেছে মোদী সরকার। বলেছে কত দ্রুত হারে অ্যাকাউন্ট খোলা গিয়েছে, তার কথা। কিন্তু উল্টো দিকে বিরোধীরা পরিসংখ্যান তুলে ধরে বারবার দেখিয়েছেন যে, জনধন প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলেছে ঠিকই। কিন্তু তাতে টাকা রাখছেন না অনেকেই। নোট বাতিলের পরে আবার অভিযোগ উঠেছিল যে, ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে কালো টাকা জমা করেছেন অনেকে।
এ দিন সম্ভবত সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই জেটলি বলেন, গত তিন বছরে কোনও টাকা না-থাকা জনধন অ্যাকাউন্ট ৭৭% থেকে নেমেছে ২০ শতাংশে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে যেখানে ৭৬.৮১ শতাংশ অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ছিল না, সেখানে এখন তা নেমে এসেছে ২০ শতাংশের আশেপাশে। দেশের ৯৯.৯৯% পরিবারেরই এখন অন্তত একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলে কেন্দ্রের দাবি। আগামী দিনে ভর্তুকি-সহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা যত সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে, তত এই জিরো-ব্যালান্স অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমবে বলেও তাঁর দাবি।