‘ইউ ডোন্ট নিড অ্যান অ্যাপল, ইউ ওয়ান্ট অ্যান অ্যাপল’
ক্রমাগত ‘ওয়ান্ট’ তৈরির জাদুতেই আজ বিশ্বের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল। প্রতি বছর শরতে সেই জাদু ধরে রাখার কঠিন খেলায় নামে এই সংস্থা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই জাদু কি বজায় রইল? উত্তর জানতে অ্যাপলের এ বারের সম্ভারগুলি একটু বিশদে দেখতে হবে। এ বারও দু’ধরনের ফোন এনেছে অ্যাপল, সঙ্গে তাদের বহু প্রতীক্ষিত স্মার্ট ঘড়ি। অ্যাপল পে বলে টাকা লেনদেনের একটি নতুন পরিষেবাও এনেছে তারা। সঙ্গে নতুন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম আইওএস-৮। অ্যাপলের এই নতুন সম্ভারের সঙ্গে বিশদে পরিচিত হওয়া যাক।
আইফোন
২০১৩ সালে প্রথম বার দু’ধরনের আইফোন নিয়ে আসে অ্যাপল— আইফোন পাঁচ-এস ও আইফোন পাঁচ-সি। বিভিন্ন সংস্থার নানা দামে প্রচুর রকমের স্মার্টফোন বাজারে রয়েছে। আরও বেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছতে তখন অপেক্ষাকৃত সস্তা প্লাস্টিকের আইফোন-সি আনে অ্যাপল। কিন্তু বাস্তবে ঘটে উল্টো। বাজারে আইফোন পাঁচ-সি সে ভাবে সাফল্য পায়নি। এ বছর অ্যাপল নতুন ফোন আনার সময়ে আবার দু’টি ফোনের কথা ভেবেছিল। তবে এ বারের কারণ ভিন্ন।
দীর্ঘ দিন ধরেই আইপ্যাড, বিশেষ করে আইপ্যাড মিনি অ্যাপলকে চিন্তায় রেখেছে। বিভিন্ন সংস্থা বড় আকারের ফোন আনায় আলাদা ভাবে ট্যাবলেট রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ধরনের ফোনে ট্যাবলেটেরও অনেক সুবিধা মিলছে। ফলে কমেছে আইপ্যাডের মতো ট্যাবলেটের বিক্রি। কাজেই নতুন আইফোনকে আকারের দিক থেকে কিছুটা আলাদা করল অ্যাপল।
আকার: ছোট আইফোন-ছয়, ৪.৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের। আর বড় আইফোন-ছয় প্লাস ৫.৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের। ১৬ জিবি, ৩২ জিবি এবং ১২৮ জিবি-র এই দু’টি ফোনই আইফোন-পাঁচ এর তুলনায় ‘স্লিম’। আইফোন-ছয় ৬.৯ মিলিমিটার আর আইফোন-ছয় প্লাস ৭.১ মিলিমিটার পুরু। তুলনায় ‘মোটা’ আইফোন-পাঁচ ছিল ৭.৯ মিলিমিটারের। অ্যানোডাইজড অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি ফোন দু’টির ধারগুলি মসৃণ ভাবে বাঁকানো। আকারে বড় হলেও এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর সুবিধার কথা মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। যেমন, হোম বাটনটিকে দুই বার ছুঁলেই উপরের স্ক্রিন নীচে নেমে আসবে। ফলে এক হাতে প্রায় সব কাজ সারা যাবে বলে দাবি অ্যাপলের।
ডিসপ্লে: প্রতি বারের মতো এ বারও ডিসপ্লে উন্নত করেছে অ্যাপল। দু’টি ফোনেই চলে এসেছে রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে। আইফোন-ছয়-এর রেজলিউশন ১৩৩৪x৭৫০। আইফোন-ছয় প্লাস-এর রেজলিউশন ১৯২০x১০৮০। ডুয়েল ডোমেন পিক্সেলে রংগুলিকে আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে। ফলে আইফোন-ছয় প্লাসকে অনেকটা আইপ্যাড মিনির মতো মনে হবে। অ্যাডভান্সড ফোটো অ্যালাইমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিসপ্লের কনট্রাস্টও বাড়ানো হয়েছে। ডিসপ্লের পোলারাইজার-এর মানও উন্নত করা হয়েছে। ফলে সূর্যের আলোয় দেখতে কোনও সমস্যা হবে না ব্যবহারকারীর। একই সঙ্গে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ভিউও ভাল হবে। আইফোনে এ বার ল্যান্ডস্কেপ ভিউ বলে একটি সুবিধা দিয়েছে অ্যাপল। এটি ব্যবহার করলে স্ক্রিনে আরও বেশি অ্যাপস দেখা যাবে।
প্রসেসর: ফোন দু’টিতে ৬৪ বিটের ডেক্সটপ ক্লাস আর্কিটেকচার রয়েছে। আছে অ্যাপল-এর নতুন এ-৮ প্রসেসর। ২০০ কোটি ট্রানজিস্টর দিয়ে তৈরি এই প্রসেসর প্রথম আইফোনের প্রসেসরের থেকে ৫০ গুণ শক্তিশালী। গ্রাফিক্সের কাজ হবে ৮৪ গুণ দ্রুত। কিন্তু এই কাজ করতে এ-৮ প্রসেসর পূর্বসূরি এ-৭ প্রসেসরের থেকে ৫০ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করবে। ব্যাটারিও চলবে বেশি ক্ষণ। এ বারের ফোনে রয়েছে এম-৮ মোশন সেন্সর। ব্যবহারকারী কতটা হাঁটছেন বা কতটা খাঁড়াইয়ে উঠছেন এমন নানা বিষয়ের হিসেব রাখবে এই সেন্সর। এই সেন্সরটি ফোনের অ্যাকসেলেরোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ এবং ব্যারোমিটার (এটি নতুন সংযোজন) থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। ফলে এ-৮ প্রসেসরের উপরে চাপ কমবে।
ক্যামেরা: আই সাইট ক্যামেরাতেও বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। শুধু মেগাপিক্সেল পাঁচ থেকে বাড়িয়ে আট করাই নয়, তারা নিয়ে এসেছে অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন, অটো স্টেবিলাইজেশন-এর মতো প্রযুক্তি। আগে শুধু এসএলআর ক্যামেরাতে এই সুবিধা পাওযা যেত বলে সংস্থার দাবি। রযেছে নতুন ফোকাস পিক্সেল-এর প্রযুক্তিও। এই ক্যামেরায় এক্সপোজার কন্ট্রোলের সুবিধাও রয়েছে। এফ/২.২ অ্যাপারচারের এই ক্যামেরায় এ বার ১০৮০ পিক্সেলে ৬০ এফপিএস-এ এবং ২৪০ এফপিএস-এ স্লো মোশনে ৭২০ পিক্সেলের-এর ভিডিও তোলা যাবে। ভিডিও তোলার সময়ে ক্যামেরা অটো ফোকাস থাকবে।
ইন্টারনেট সংযোগ: এই ফোনে ফোর-জি আরও দ্রুত কাজ করবে বলে দাবি সংস্থার। ঠিকঠাক চললে ডাউনলোড স্পিড সর্বোচ্চ ১৫০ এমবিপিএস হবে। এতে ২০টি এলটিই ব্যান্ড রয়েছে। ফলে নানা দেশের ফোর-জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ করা যাবে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়েসওভার এলটিই-র সুবিধাও। এই ফোনের ওয়াই-ফাইও আগের থেকে প্রায় তিন গুণ ক্ষমতাশালী। ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ফোনও করা যাবে। ফলে যেখানে সেলুলার সংযোগ পাওয়া যাবে না সেখানেও ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে এই ফোনে কথা বলতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
টাচ আইডি: পৃথিবীতে দু’জন মানুষের আঙুলের ছাপ এক হয় না। এই আঙুলের ছাপকে সুরক্ষার জন্য আগের ফোনেই কাজে লাগাতে শুরু করে অ্যাপল। এই প্রযুক্তির নাম টাচ আইডি। তবে সুরক্ষা বাড়লেও ফোন ব্যবহারে কোনও ঝামেলা হবে না। হোম বাটনে আঙুল ছোঁয়ালেই ফোন আন-লক হয়ে যাবে। ফোন যে ভাবেই থাকুক না কেন ৩৬০ ডিগ্রি-তেই টাচ আইডি কাজ করবে।
অ্যাপল পে
আই-বুকে বইপড়া, আই-টিউনসে গান শোনা, সিনেমা দেখার সুযোগ দেওয়ার পরে লেনদেনের জগতেও ঢুকে পড়ল অ্যাপল। এ বার তাদের অন্যতম চমক এই অ্যাপল পে। কেনাকাটিতে নগদের ব্যবহার দ্রুত কমছে। আমেরিকার মতো দেশে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার খুবই বেশি। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও এই মেটাল-মানি-র ব্যবহার খুব দ্রুত বাড়ছে। তবে অ্যাপলের দাবি, যে ভাবে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটি করা হচ্ছে তা সুরক্ষিত নয়। তা ছাড়া প্রযুক্তিটিও প্রায় ৫০ বছরের পুরনো। দোকানে কার্ড ব্যবহার করলে স্লিপে সই করতে হয়। অনলাইনে কার্ড ব্যবহার করলে অনেক তথ্য লিখতে হয়। এর থেকে অনেক সহজ অ্যাপল পে-এর ব্যবহার। অ্যাপল পে কাজ করে টাচ আইডি-এর সাহায্যে। এ ক্ষেত্রে নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
কী ভাবে কাজ হবে: আইফোনে পাসবুক বলে একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে এত দিন বোর্ডিং পাশ, টিকিট, কুপন ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্যালি জমা রাখা যেত। এ বার সেখানে কার্ডের তথ্যও জমা রাখা যাবে। আই-টিউনসে আগে থেকেই কার্ডের তথ্য দেওয়া থাকলে পাসবুকে শুধু নির্দিষ্ট কার্ডের সিকিউরিটি কোড লিখলেই তা পাসবুকে জমা থাকবে। নতুন কার্ডের তথ্য আলাদা করে পাসবুকে লিখতে পারেন নয়তো আই-সাইট ক্যামেরা ব্যবহার করে কার্ডের তথ্য পড়িয়ে নিতে পারেন। পাসবুকে তালিকায় প্রথম থাকা কার্ডটিই কিন্তু লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত হবে। তবে আপনি পাসবুকে ঢুকে অন্য কার্ডও সিলেক্ট করতে পারেন। এর পরের ব্যাপারটি খুব সহজ। টাচ আইডি-তে আঙুল ঠেকিয়ে নির্দিষ্ট রিডারের পাশে নিয়ে গেলেই এনএফসি-তে কেল্লাফতে। হাল্কা ভাইব্রেশন আর বিপ শব্দে বুঝতে পারবেন লেনদেন মিটে গিয়েছে।
আশঙ্কা: অ্যাপলের দাবি, এ ক্ষেত্রে সব তথ্য গোপন থাকবে। প্রতিটি কার্ডের ক্ষেত্রে একটি আলাদা ডিভাইস নম্বর তৈরি হবে যা সাঙ্কেতিক ভাবে আইফোনের মধ্যে আলাদা একটি চিপে জমা থাকবে। অ্যাপল-এর সার্ভারে কিছু থাকবে না। থাকবে না কেনাকাটির বিশদ তথ্যও। শুধু আপনার যতটুকু প্রয়োজন তাই পাসবুকে থাকবে। ফোন হারিয়ে গেলে ফাইন্ড মাই আইফোনে গিয়ে ফোনটিকে লস্ট মোডে রাখলে আর কেউ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে না। সম্প্রতি অ্যাপল-এর সার্ভার থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি হ্যাক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তার পরে অ্যাপলের এই ব্যবস্থা কতটা সফল হবে সেটাই দেখার।
অ্যাপল ওয়াচ
দীর্ঘ দিন ধরে পরা যায় এমন প্রোডাক্ট অ্যাপল আনতে চলেছে বলে কথা চলছিল। সেটা যে হাতে পরা ঘড়ি হতে চলেছে তাও মোটামুটি জানা গিয়েছিল। অ্যাপল-এর আগে স্যামসং, সোনি-সহ আরও কয়েকটি সংস্থা স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে এসেছে। তবে এই ধরনের জিনিস কতটা সফল হতে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন স্টিভ জোবসের এক সময়ে সঙ্গী ও অ্যাপলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিক। অ্যাপল কিন্তু ঘড়ি নিয়েই এল। তবে এই ঘড়ি কাজ করবে শুধু আইফোনের সঙ্গেই। এই ঘড়ির মূলে রয়েছে এস-১ চিপ। একটি পুরো কম্পিউটার আর্কিটেকচারকে একটি চিপের মধ্য সেঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরে রেসিনে মুড়ে দেওয়া হয়েছে যাতে অন্য যন্ত্রাংশের আঘাতে নষ্ট না হয়।
অ্যাপল ওয়াচ, অ্যাপল ওয়াচ স্পোর্টস, অ্যাপল ওয়াচ এডিশন— এই তিন ধরনের ঘড়ি বাজারে আসছে। এই ঘড়ি সময় রাখবে প্রায় নির্ভুল ভাবে। ৫০ মিলিসেকেন্ড মতো ভুল হতে পারে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। এখানেও সহজে ব্যবহার যোগ্যতাই অ্যাপল-এর মূলমন্ত্র। তাই অ্যাপল এই ঘড়ির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে নিয়ে এসেছে ডিজিট্যাল ক্রাউন নামে নতুন এক ব্যবস্থা। অ্যাপলের দাবি, যে ভাবে তাদের আনা মাউস ডেক্সটপের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করে দিয়েছে, আইপডের হুইল গান শোনার অভিজ্ঞতাকে পরিবর্তন করেছে, সে ভাবেই ডিজিট্যাল ক্রাউনও ঘড়ির মতো ছোট স্ক্রিনে টাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের অন্য দিগন্ত খুলে দেবে।
ডিজিটাল ক্রাউন: এটি কিন্তু একবারেই নতুন কিছু না। ঘড়ির দম দেওয়া, তারিখ বা সময় পরিবর্তন নবের মতোই দেখতে। একেই নতুন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অ্যাপলের দাবি। স্ক্রিন না ঢেকে স্ক্রোল, জুম, নেভিগেট করতে এর ব্যবহার করতে হবে। সহজে ছোট জিনিসকে জুম করা যাবে। ছোট স্ক্রিনে সব কিছুকে সহজ ভাবে বুঝতে শুধু ঘড়ির জন্যই নতুন টাইপফেস তৈরি করেছে অ্যাপল। তা ছাড়া এতেও থাকছে রেটিনা ডিসপ্লে। স্ক্রিনকে একটি ক্রিস্টাল স্যাফায়ারের উপরে ল্যামিনেট করা হয়েছে। এটি হিরের পরে সব থেকে কঠিন বস্তু। সহজে ভাঙবে না। আর স্পোর্ট কালেকশনে এর উপরে আবার লং-এস্ক গ্লাস দেওয়া রয়েছে। এর পরেও ঘড়িটি এত সংবেদনশীল যে, চাপ দেওয়া ও ছোঁয়ার মধ্য পার্থক্য করতে পারে। এই ঘড়ির রয়েছে নানা হোমস্ক্রিন। এক ছোঁয়ায় হোমস্ক্রিন বদলে নেওয়া যাবে নিজের ইচ্ছে মতো।
প্রধানত আইফোনের সঙ্গে কোনও ধরনের সংযোগ হলে তা ঘড়িতেও টের পাওয়া যাবে। কোনও ফোন এলে, মেল এলে ঘড়িতে নোটিফিকেশন চলে আসবে। এখানে মিলবে সিরি-র সুবিধা (কথ্য নির্দেশে কাজ করার ব্যবস্থা। আইফোনে বেশ কিছু দিন ধরেই এই সুবিধা মিলছে। এ বার আরও উন্নতমানের সিরি এনেছে অ্যাপল।) শুধু বলুন 'হাই সিরি' বা ডিজিট্যাল ক্রাউন কিছু ক্ষণ চেপে রাখুন। সিরি কাজ শুরু করে দেবে। পড়া যাবে মেল। করা যাবে চ্যাটও।
এতেও থাকছে নানা অ্যাপস। অ্যাপল এমনিতেই নানা অ্যাপস দিচ্ছে। আর অন্যরা যাতে শুধু ঘড়ির জন্য অ্যাপস বানাতে পারে তাই অ্যাপল নিয়ে এসেছে ওয়াচ কিট। ঘড়িতে স্বাস্থ্য ও শরীরচর্চা সংক্রান্ত অ্যাপস রাখছে অ্যাপল। এই অ্যাপসগুলি আপনার শরীরের খবরও রাখবে। আপনি বসে আছেন, হাঁটছেন না শরীরচর্চা করছেন তা-ও জানাতে পারবে। নাইকি-র মতো নানা সংস্থা এই ঘড়ির জন্য অ্যাপলের সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করছে। ডিজিট্যাল ক্রাউন এক বার প্রেস করলেই ঘড়িতে অ্যাপসগুলির দেখা মিলবে। এখানেও মিলবে অ্যাপল পে-এর সুবিধা।
ছবি: ইন্টারনেট।