অনলাইন রিটেল ব্যবসায় কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বণিকসভা

ফ্লিপকার্টের বিপুল ছাড়ে পণ্য বিক্রি ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক উঠলেও অনলাইন রিটেল ব্যবসার উপর কড়া শর্ত চাপিয়ে নতুন কোনও আইন আনার বিরুদ্ধে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। পাশাপাশি, চাহিদার চাপে ওয়েবসাইট শ্লথ হয়ে পড়াকেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখতে চায় তারা। অ্যাসোচ্যামের দাবি, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত নয় গোটা ই-কমার্স ব্যবসাকে। তাদের যুক্তি, এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ এই ব্যবসার বিস্তারে পরিপন্থী হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০৭
Share:

ফ্লিপকার্টের বিপুল ছাড়ে পণ্য বিক্রি ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক উঠলেও অনলাইন রিটেল ব্যবসার উপর কড়া শর্ত চাপিয়ে নতুন কোনও আইন আনার বিরুদ্ধে বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। পাশাপাশি, চাহিদার চাপে ওয়েবসাইট শ্লথ হয়ে পড়াকেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখতে চায় তারা। অ্যাসোচ্যামের দাবি, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত নয় গোটা ই-কমার্স ব্যবসাকে। তাদের যুক্তি, এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ এই ব্যবসার বিস্তারে পরিপন্থী হতে পারে।

Advertisement

স্মার্টফোন থেকে ট্যাবলেট, সুগন্ধি থেকে রান্নার সরঞ্জাম, বিপুল ছাড় দিয়ে গত সোমবার হরেক পণ্যের সম্ভার নিয়ে ক্রেতার দরবারে হাজির হয়েছিল ফ্লিপকার্ট। কিন্তু কেনাকাটা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই সমস্যার সূত্রপাত। ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, সংস্থাটির সাইট শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। আবার কেনাকাটা করার পরে অনেকে অভিযোগ এনেছেন, ছাড় মেলেনি, উল্টে পণ্যের দাম বেড়েছে। গোলযোগের কথা পরে স্বীকার করে নিয়ে সংস্থার কর্তাদের যুক্তি ছিল, তাঁরা যতটা আশা করেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি ক্রেতা কেনাকাটায় অংশ নেওয়ায় সমস্যা হয়েছিল।

এর পর অবশ্য কম জলঘোলা হয়নি। কেন্দ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানায়। আর তাতেই আশঙ্কা জানিয়েছে শিল্পমহল। কোন সংস্থা কত দামে পণ্য বেচবে, সরকার তা-ও দেখতে শুরু করলে সাবেক নিয়ন্ত্রণ জমানা ফিরে আসতে পারে বলেই ভয় পাচ্ছে তারা। বণিকসভাটির সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াতের বক্তব্য, ঘটনাটির পরে সংস্থা দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। বিষয়টি সেখানেই শেষ হওয়া উচিত। সংস্থাটির অভিসন্ধি বা গোটা ব্যবসার প্রতিচ্ছবি হিসেবে এটিকে দেখা ঠিক নয় বলে তাঁর মত।

Advertisement

ভারতে অতিরিক্ত আইনি কড়াকড়ি নিয়ে আগেও সরব হয়েছে শিল্পমহল। তাদের বক্তব্য, লগ্নি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়ম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। অ্যাসোচ্যাম কর্তাদেরও আশঙ্কা, নতুন আইন আরোপ করা হলে আখেরে ক্ষতি হবে এই ব্যবসারই। বর্তমানে চালু আইনের মাধ্যমেই ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, আইনি জটিলতা সদ্যোজাত এই ব্যবসাকে গোড়াতেই নষ্ট করবে। ধাক্কা দেবে উদ্যোগীদের উৎসাহেও। বিশেষ করে যখন এই ব্যবসায় যাঁরা আসছেন তাঁদের অধিকাংশই নবীন এবং নতুন উদ্যম নিয়ে এগোতে আগ্রহী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন