বিপুল চাহিদার হাত ধরে চিনের বাজারে অ্যাপলের আইফোন-৬ এবং ৬-প্লাস বিকোল ‘হটকেক’-এর মতো। এবং তা এতটাই বেশি যে, ওই মার্কিন সংস্থার তৈরি ফোন বিক্রিতে এই প্রথম খাস মার্কিন মুলুককেই পেছনে ফেলে দিল তারা। এই তথ্য জানিয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক ইউবিএস-এর বিশ্লেষক স্টিভেন মিলানোভিচ।
মিলানোভিচ-এর দাবি, ২০১৪-র শেষ ৩ মাসে অ্যাপলের সাম্প্রতিকতম ওই দুই আইফোনের ৩৫% বিক্রি করেছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আমরিকার ২৪ শতাংশের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। এমনকী তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের শেষ তিন মাসেও চিনে আইফোন বিক্রির হার ছিল বেশ কম, ২২%। আর এই পরিসংখ্যানেই তাক লেগেছে সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ আইফোন বিক্রির নিরিখে মার্কিন মুলুককে এ ভাবে টেক্কা দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
সবেমাত্র গত ১৭ অক্টোবরেই ভারত ও চিনের বাজারে আইফোন-৬ ও ৬-প্লাস স্মার্ট ফোনের বিক্রি শুরু করেছে অ্যাপল। প্রথমটি ৪.৭ ইঞ্চির ও দ্বিতীয়টি ৫.৫ ইঞ্চির। চিনের জিনহুয়া সংহবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, সে দেশের অন্যতম বৃহৎ ইন্টারনেট কেনাকাটার সংস্থা জেডি ডট কম-এ সেগুলি প্রথম দিন বিক্রির পরই বাড়তে থাকা উন্মাদনা। এর পর তিন দিনের মধ্যে সেখানে আইফোনের বরাত পে ছে যায় ১ কোটিতে। যেখানে সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কিং বহুজাতিক ইউবিএস-এর হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের শেষ তিন মাসে অ্যাপল বেচেছিল মোট ৬ কোটি ৯৩ লক্ষ আইফোন। একটি ত্রৈমাসিকে বিক্রির নিরিখে সেটিও ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থাটির গড়া এক নতুন নজির।
চিনে বাজার দখল আরও বাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহী অ্যাপল সিইও টিম কুক-ও। যে-কারণে অক্টোবরে সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন চিন থেকেই সবচেয়ে বেশি আয় ঢোকে অ্যাপলের ঘরে।” তিনি সে দেশে অ্যাপলের খুচরো বিপণি ১৫ থেকে বাড়িয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ৪০-এ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
প্রসঙ্গত, চিনে স্মার্ট ফোনের বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছিল জিয়োমি ও স্যামসাঙের হাতে। আইফোন ছিল তিনে। সেখান থেকে উঠে শেষ পর্যন্ত শীর্ষ স্থানটা অ্যাপল পাকাপাকি ভাবেই নিজেদের দখলে নিতে পারে কিনা, এ বার সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।