ইউনিনর এ বার পুরোপুরি টেলিনর গোষ্ঠীর হাতে চলে এল। যৌথ সংস্থা টেলিউইংস-এর বাকি ২৬% শেয়ারও কিনে নিয়েছে নরওয়ের টেলিনর গোষ্ঠী।
এ দেশে ব্যবসা করার জন্য গোড়ায় ইউনিটেকের হাত ধরেছিল টেলিনর। তৈরি হয়েছিল যৌথ সংস্থা ইউনিনর। টুজি স্পেকট্রাম নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট যে-সমস্ত মোবাইল পরিষেবা সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করে, তার মধ্যে ছিল ইউনিনরও। এর পরে নরওয়ের ওই শিল্প গোষ্ঠী এ দেশে নতুন সঙ্গী খোঁজার কথা জানালে ইউনিটেকের সঙ্গে বিরোধ বাধে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য উভয়পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়। এবং ইউনিনরে ইউনিটেকের ৩৯.৫% শেয়ার কিনে নেয় টেলিনর। পাশাপাশি নতুন সংস্থা টেলিইউংস-এ ২৬% শেয়ার নেয় সুধীর ভালিয়ার লক্ষদীপ ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড ফিনান্স সংস্থা। বাকিটা টেলিনরের হাতেই থাকে। নতুন সংস্থা হলেও ইউনিনর ব্র্যান্ড-নামটি চালু রাখা হয়।
এই অবস্থায় গত জুনে টেলিনর জানায়, ভারতে মোবাইল পরিষেবা ব্যবসার পুরোটাই তারা নিজেদের হাতে রাখতে চায়। ১০০% অংশীদারির জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিল তারা। এই লেনদেনে ৭৮০ কোটি টাকা খরচের কথাও জানিয়েছিল ওই গোষ্ঠী।
তারা জানিয়েছে, বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ টেলিউইংসে তাদের অংশীদারি ১০০% বাড়ানোয় সায় দিয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্থাটি এখন টেলিনরের শাখা সংস্থায় পরিণত হল।
টুজি বিতর্কের সময়েই ভারতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল টেলিনর। ওই গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা তথা টেলিউইংস পর্ষদের চেয়ারম্যান সিগবে ব্রেক ফের সে কথা উল্লেখ করে বলেন, “ভারতে আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধির হার যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক।” তাঁর দাবি, প্রতি মাসেই বাজারে তাঁদের অংশীদারি বাড়ছে ও বেশ কিছু সার্কলে নয়া গ্রাহক সংযোজনে তাঁরা অগ্রণী। ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে ব্যবসাও গত বছরের চেয়ে ৪০% বেড়েছে। এ বছরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছে তারা। যা তাদের ২০% গ্রাহক ব্যবহার করেন। দেশে ছ’টি সার্কেলে এখন ৪ কোটিরও বেশি গ্রাহক সংস্থার।