ইমামি পেপারের নতুন ইউনিট। — স্বাতী চক্রবর্তী
আধুনিক জীবনে মোড়কবন্দি পণ্যের চাহিদা ছিলই। এখন তা আরও বাড়ছে নেট-বাজারের হাত ধরে। ফলে পণ্যের সেই প্যাকেট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ ধরনের (মাল্টি-লেয়ার্ড কোটেড) পেপারবোর্ডের চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী। সেই বাজার ধরতে এ বার পেপারবোর্ড তৈরি করতে নামল দেশের বৃহত্তম নিউজপ্রিন্ট উপাদনকারী সংস্থা ইমামি পেপার মিলস।
বালেশ্বরে তাদের চালু কারখানা সম্প্রসারণ করে পেপারবোর্ড তৈরির নতুন উৎপাদন কেন্দ্রটি গড়তে ১,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে সংস্থাটি। এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২ লক্ষ টন। আগামী তিন বছরে তা দ্বিগুণ করতে আরও ১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমামি গোষ্ঠীর অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য অগ্রবাল। ফলে মোট লগ্নির অঙ্ক ২,০০০ কোটি।
সংশ্লিষ্ট মহলের হিসেবে ভারতে এখন এ ধরনের পেপারবোর্ডের চাহিদা বছরে ৭ লক্ষ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। আইটিসি, জে কে পেপার, সেঞ্চুরির মতো সংস্থা সেই ব্যবসায় রয়েছে।
ইমামি পেপারের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর পি এস পাটোয়ারির দাবি, এই পেপারবোর্ডের ব্যবসা বৃদ্ধির হার বছরে ১৫ শতাংশ। ডিসেম্বরেই তাদের নতুন কারখানায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। কারখানা পুরোদমে চালু হলে ২০১৬-’১৭ সালে এই বাজারের ২০% দখলের আশা করছেন তারা। আগামী দিনে মোট ব্যবসার ৬০% পেপারবোর্ড থেকে পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। এফএমসিজি, ওষুধ, হোসিয়ারি, কনফেকশনারি ইত্যাদি পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকেট তৈরিতে কাজে লাগে এই পেপারবোর্ড। অনলাইন বিক্রিবাটার হাত ধরে এ ধরনের প্যাকেটের চাহিদা চড়া হারে বাড়ছে। সংস্থাটির কর্তাদের দাবি, এই নতুন কারখানায় ১০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।