এই দুর্মূল্যের বাজারে মেপে খরচ করতে বাধ্য হওয়া সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। এ বার ছোট অর্থাত্ ৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারও ভর্তুকির দরে বিক্রি করতে শুরু করেছে তারা। এত দিন যে-সুবিধা মিলত শুধুমাত্র ১৪.২ কেজির বড় সিলিন্ডারে।
সে ক্ষেত্রে যেমন পরিবার পিছু বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক (১২টি) ভর্তুকির সিলিন্ডার বরাদ্দ এবং সেই সীমা পেরোলে তা কিনতে হয় বাজার দরে, ৫ কেজি সিলিন্ডারেও সেই নিয়মই প্রযোজ্য বলে বুধবার রাজ্যসভায় জানান তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তেল সংস্থাগুলি অবশ্য জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও ১৯ কেজি-র বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দরের (১,৩৪৮.৫০ টাকা) ভিত্তিতে হিসাব করেই ৫ কেজির সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। ভর্তুকি বরাদ্দ শুধু গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারেই। তবে এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ এলে অবশ্যই তা মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
এত দিন সাধারণত গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের জন্য রান্নার গ্যাস হিসেবে ধরা হত শুধুমাত্র ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারকে। পশ্চিমবঙ্গে যার ভর্তুকির দাম বর্তমানে ৪১৯ টাকা। দিল্লিতে ৪১৭। এখন ভর্তুকির আওতায় এল ৫ কেজির সিলিন্ডারও। সে ক্ষেত্রে হিসাব মাফিক, একজন গ্রাহক বছরে ভর্তুকির দামে ৩৪টি ৫ কেজির সিলিন্ডার কিনতে পারেন বলে জানান তেলমন্ত্রী। দিল্লিতে এর দাম ১৫৫ টাকা। ৩৪টির বেশি প্রয়োজন হলে কিনতে হবে বাজার দরে ৩৫১ টাকায়। ১২টির কোটা ফুরোলে ১৪.২ কেজির গ্যাস যেমন কিনতে হয় ভর্তুকিহীন দামে। এখন কলকাতায় যা ৭৯১ টাকা। আর দিল্লিতে ৭৫২।
১৪.২ কেজির মতো ৫ কেজির সিলিন্ডারও সংশ্লিষ্ট এলপিজি ডিলারের কাছ থেকেই কেনা যাচ্ছে। তেল মন্ত্রকের আধিকারিকেরা জানান, এর জন্য গ্রাহককে বছরের প্রথমেই নিজের গ্যাস ডিলারকে জানিয়ে দিতে হবে, তিনি ৫ কেজি ও ১৪.২ কেজির মধ্যে কোন মাপের সিলিন্ডার চান। এমনকী মাঝপথে গ্রাহক সিলিন্ডারের মাপ বদলাতেও পারবেন না। কারণ তাতে পরিবার পিছু নির্দিষ্ট করা ভর্তুকির হিসাব কষতে অসুবিধা হবে। ৫ কেজির সিলিন্ডার অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু পেট্রোল পাম্পেও পাওয়া যায়। তবে সেখান থেকে তা বাজার দরেই কিনতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ব্যবস্থা সারা দেশে পুরোদস্তুর চালু হওয়ার পরে কিছুটা হাঁপ ছাড়বেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। চাইলে অনেকটাই কম দামে ভর্তুকির ৫ কেজির সিলিন্ডার কিনে সংসার খরচে রাশ টানার সুযোগ পাবেন তাঁরা।