এই প্রথম ২২ হাজারে থামল সূচক

চলতি মাসে তিন-তিন বার লেনদেন চলাকালীন ২২ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়েছিল সেনসেক্স। কিন্তু ‘শেষরক্ষা’ হয়নি। প্রতি বারই দিনের শেষে তা ফিরে গিয়েছিল ২১ হাজারের ঘরে। অবশেষে সোমবার বাজার বন্ধের সময় ২২ হাজারের উপরেই থিতু হল সূচক। ইতিহাসে এই প্রথম। এক ধাক্কায় ৩০০.১৬ পয়েন্ট উত্থানের দৌলতে তা পৌঁছে গেল ২২,০৫৫.৪৮ অঙ্কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০২:১৮
Share:

চলতি মাসে তিন-তিন বার লেনদেন চলাকালীন ২২ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়েছিল সেনসেক্স। কিন্তু ‘শেষরক্ষা’ হয়নি। প্রতি বারই দিনের শেষে তা ফিরে গিয়েছিল ২১ হাজারের ঘরে। অবশেষে সোমবার বাজার বন্ধের সময় ২২ হাজারের উপরেই থিতু হল সূচক। ইতিহাসে এই প্রথম। এক ধাক্কায় ৩০০.১৬ পয়েন্ট উত্থানের দৌলতে তা পৌঁছে গেল ২২,০৫৫.৪৮ অঙ্কে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের পর কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার আসা এবং তার হাত ধরে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরার আশায় ভর করেই সূচকের এই দৌড়। মূলত ওই দুই বিশ্বাসে আস্থা রেখেই ভারতের বাজারে বিপুল পরিমাণে লগ্নি করছে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ার বাজার চাঙ্গা থাকাও ইন্ধন জুগিয়েছে সূচকের উত্থানে।

মার্কিন অর্থনীতির হাল শোধরানোর ইঙ্গিত মেলায় সেখানে দফায় দফায় ত্রাণ প্রকল্প গোটাতে শুরু করেছে ওবামার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ। গোড়ার দিকে সেই আশঙ্কায় ভারতের বাজারে ধস নামলেও, মার্কিন অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরার সম্ভাবনা এখন এ দেশের বাজারের কাছে কিছুটা সুখবরই হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, “মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করছে যে, ওই দেশে অর্থনীতির হাল ফিরছে। তার জেরে চাঙ্গা হচ্ছে ওই দেশের বাজার। আর তারই প্রভাব পড়ছে সারা বিশ্বে।”

Advertisement

ফিনশোর গোষ্ঠীর এমডি লক্ষ্মণ শ্রীনিবাসন বলেন, “ভারতে বৃদ্ধির হার এখনও ৫%। আমরা হয়তো তাতে সন্তুষ্ট নই। কিন্তু এক চিন ছাড়া ওই হার বিশ্বে আর কোথাও নেই বললেই চলে। তার উপর সম্প্রতি আর্থিক ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে চিনে। ফলে সব দেখেশুনে এ দেশের বাজারেই টানা টাকা ঢেলে চলেছে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি।” উল্লেখ্য, সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, শুধু ফেব্রুয়ারিতেই পার্টিসিপেটরি নোটের মাধ্যমে ১.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা ভারতের বাজারে লগ্নি করেছে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি।

এ দিন বাজার বেড়েছে প্রধানত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শেয়ার দরে উত্থানের দৌলতে। উল্লেখযোগ্য ভাবে দর বেড়েছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইটিসি-র মতো বড় সংস্থারও। তবে টাকার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কায় দর পড়েছে অধিকাংশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার। আগামী বৃহস্পতিবার ডেরিভেটিভ লেনদেন সেটল্মেন্টের দিন হওয়ায় এই সপ্তাহে বাজার দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন