ওয়ার্ল্ড চেম্বার্স কংগ্রেসের জায়গা জানা যাবে নভেম্বরে

২০১৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড চেম্বার্স কংগ্রেস’-এর দায়িত্ব কলকাতা শেষমেশ পাবে কি না, তা জানা যাবে নভেম্বরের শেষে। সম্প্রতি জাপান সফরে সেই সম্মেলনের প্রস্তাব নিয়ে সওয়াল করেছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) এক প্রতিনিধিদল। এই দৌড়ে আইসিসি-র প্রতিযোগীরা হল: সিসিপিআইটি ঝেজিয়াং প্রভিন্সিয়াল কমিটি অব চায়না, দ্য ফিলিপিন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সিডনি বিজনেস চেম্বার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫০
Share:

২০১৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড চেম্বার্স কংগ্রেস’-এর দায়িত্ব কলকাতা শেষমেশ পাবে কি না, তা জানা যাবে নভেম্বরের শেষে। সম্প্রতি জাপান সফরে সেই সম্মেলনের প্রস্তাব নিয়ে সওয়াল করেছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) এক প্রতিনিধিদল। এই দৌড়ে আইসিসি-র প্রতিযোগীরা হল: সিসিপিআইটি ঝেজিয়াং প্রভিন্সিয়াল কমিটি অব চায়না, দ্য ফিলিপিন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সিডনি বিজনেস চেম্বার। তারা লড়ছে যথাক্রমে গোয়াংজাও, ম্যানিলা ও সিডনির জন্য।

Advertisement

দু’বছরে একবার বসে ওয়ার্ল্ড চেম্বার্স কংগ্রেস। ২০০৬ সালে দিল্লির নাম প্রস্তাব করা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। এ বার কলকাতার হয়ে সওয়াল করছে আইসিসি। প্রতিটি দেশ থেকে একটি বণিকসভাই সেখানকার সম্মেলনের জন্য প্রস্তাব দিতে পারে।

এই সওয়াল পর্বের দু’টি ধাপ। প্রথম ধাপে অন্যান্য দেশের বণিকসভাগুলির সঙ্গে জাপান সফরে আইসিসি-র প্রতিনিধিদল কলকাতার হয়ে সওয়াল করেছে। বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট রূপেন রায়ের দাবি, ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে বিপুল বাজার, তরুণ প্রজন্মের ব্যাপ্তি এবং গণতন্ত্রের প্রেক্ষিতে এ দেশে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা ওয়ার্ল্ড চেম্বার ফেডারেশনের সভায় তুলে ধরেছেন তাঁরা। তাঁর মতে, সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে ভারত অন্য দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, “ভারতের বাজার বিপুল। আগামী দিনে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা। তাই এই দেশ এখন বিশ্বে অন্যতম সম্ভাবনাময় গন্তব্য।”

Advertisement

দ্বিতীয় ধাপে সম্মেলনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দিকটি দেখা হয়। সে জন্য আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রস্তাব আইসিসি-সহ অন্য তিনটি দেশের বণিকসভাকেই দিতে হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। দুই পর্ব মিলিয়ে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে যে, কে এই দায়িত্ব পাবে।

পাশাপাশি, ওই সফরে ব্যাঙ্ক অব জাপানের গভর্নর হারুহিকো কুরোদা এবং জাপানের বিভিন্ন বণিকসভা ও শিল্প-কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন আইসিসি-র সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী জানুয়ারিতে এ রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের জন্য তাঁদের আমন্ত্রণও জানায় আইসিসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন