গোয়ায় আগামী বছরই শুরু হবে আকরিক লোহা খননের কাজ

গোয়ায় পুরোদমে ফের আকরিক লোহা খনন শুরু হতে আগামী বছর হয়ে যাবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। তাঁর দাবি, সাধারণ ভাবে খনন শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ। কিন্তু পুরোদমে কাজ শুরু করতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি হয়ে যাবে। পাশাপাশি, চলতি অর্থবর্ষেই ২ কোটি টন আকরিক লোহা রফতানি করা সম্ভব হবে বলেও এ দিন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫১
Share:

গোয়ায় পুরোদমে ফের আকরিক লোহা খনন শুরু হতে আগামী বছর হয়ে যাবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। তাঁর দাবি, সাধারণ ভাবে খনন শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ। কিন্তু পুরোদমে কাজ শুরু করতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি হয়ে যাবে। পাশাপাশি, চলতি অর্থবর্ষেই ২ কোটি টন আকরিক লোহা রফতানি করা সম্ভব হবে বলেও এ দিন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও, সঙ্গে সঙ্গে সংস্থাগুলি কাজ শুরু করতে পারবে না বলেই জানিয়েছে গোয়া সরকার। খননকার্য শুরু করতে তাদের ফের নতুন করে পরিবেশ ও বনাঞ্চল সংক্রান্ত বিভিন্ন ছাড়পত্র পেতে হবে। আর তাতে বেশ ক’মাস সময় লাগবে। পাশাপাশি, জুন থেকেই শুরু হয়ে যাবে বর্ষা। যে কারণে তখন প্রায় চার মাস কাজ শুরু করা যাবে না। এই সব কারণেই তা শুরু হতে ২০১৫-র জানুয়ারি হয়ে যাবে।

জুনের মধ্যে খনি লিজ দেওয়া নিয়ে নতুন নিয়ম স্থির হয়ে যাবে বলেও এ দিন আশা প্রকাশ করেছেন পারিক্কর। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে গোয়ায় ২০০৭ সালের পর সব ধরনের খননই বেআইনি তকমা পেয়েছে। যে কারণে ফের সেগুলি চালু করতে হলে লিজ সংক্রান্ত পরিকাঠামো ঢেলে সাজতে হবে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে রাজ্য। তবে শুধু প্রথমে এলে প্রথমে পাওয়ার ভিত্তিতে সংস্থাগুলিকে খনি লিজ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন পারিক্কর।

Advertisement

এ দিকে, শীর্ষ আদালত নিষেধাজ্ঞা তোলার পর দ্রুত কাজ শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সেসা স্টারলাইটও। এক বিবৃতিতে দেশের বৃহত্তম আকরিক লোহা খননকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেতে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে তারা। ২০১২-র অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার আগে গোয়ার খনিগুলি থেকে ১.৫-১.৬ কোটি টন আকরিক লোহা উত্তোলন করত বেদান্ত গোষ্ঠীর এই সংস্থা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার ফলে সংস্থার এই ব্যবসা প্রায় বন্ধ। এমনকী কর দানের আগে সংস্থার নিট মুনাফাও পড়েছে অনেকটাই। এই অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফের খননকার্য চালু করতে চায় তারা। পুনরায় কাজ চালু হলে শুধুমাত্র সংস্থাগুলি নয়, সামগ্রিক ভাবে দেশের খনন শিল্পই অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছে উপদেষ্টা সংস্থা ডেলয়েট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement