টাইটান। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটির নিট মুনাফা কমলো প্রায় ১৫ শতাংশ। যা দাঁড়িয়েছে ১৫১.০৬ কোটি টাকায়। নিট বিক্রিও ৫.৮৫ শতাংশ কমে হয়েছে ২,৬৮৬.৭১ কোটি টাকা। সংস্থার ঘড়ি এবং চশমার ব্যবসায় বিক্রি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৯.১ শতাংশ এবং ১৯.৭ শতাংশ। কিন্তু গয়না ব্যবসার বিক্রি কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।
ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে একক ভাবে সংস্থার নিট মুনাফা ১৭.৩৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৮.৭৭ কোটি টাকা। ব্যবসা থেকে আয়ও গত বছরের একই সময়ের ৫২০.১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৮.৩০ কোটি টাকায়।
শপার্স স্টপ। ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে সংস্থার নিট লোকসান হয়েছে ২১.৪৩ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে তাদের মুনাফা হয়েছিল ৭৫.১০ লক্ষ টাকা। তবে ব্যবসা থেকে আয় প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৬৯৭.৮৩ কোটিতে। আগামী তিন বছরে ব্যবসা বাড়াতে ৬০ কোটি টাকা লগ্নির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সংস্থা।
গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লায়েন। প্রথম ত্রৈমাসিকে ওষুধ সংস্থাটির নিট মুনাফা ৫ শতাংশের বেশি কমে হয়েছে ৯৩.২৮ কোটি টাকা। নিট বিক্রিও গত বছরের ৬৫৪.৯৬ কোটি থেকে কমে হয়েছে ৬২১.৮৫ কোটি টাকা। ওষুধের জোগান কম থাকার কারণেই মুনাফা কমেছে বলে দাবি তাদের।
এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা আগের বারের থেকে ৩০.২৯% বেড়ে হয়েছে ১৪৬.৮৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি, আমানতের পরিমাণ ২৫১ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১,৮৩,৫২১ কোটি। ঋণ ১২,০৬৬ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫১,০২৭ কোটি টাকায়।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। প্রথম ত্রৈমাসিকে নিট মুনাফা কমেছে ইউবিআইয়ের। আগের বারের থেকে তা ১৪ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৫২ কোটি। ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও পি শ্রীনিবাস বলেন, ‘‘বছরের গোড়ায় ঋণে সুদ (বেস রেট) কমিয়েছি। অনুৎপাদক সম্পদ খাতে আর্থিক সংস্থানের পরিমাণও বেড়েছে। তবে নিট হিসাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা আগের বারের থেকে ৫৭৬ কোটি টাকা কমে দঁড়িয়েছে ৪০৯১ কোটিতে।’’
আর্সেলর মিত্তল। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিট মুনাফা তিন গুণেরও বেশি বাড়াতে সক্ষম হল ইস্পাত সংস্থাটি। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে যা দাঁড়িয়েছে ১৭.৯০ কোটি ডলারে (প্রায় ১,১৪০ কোটি টাকা)। তবে এই তিন মাসে বিক্রি কমেছে লক্ষ্মী মিত্তলের সংস্থার। যা ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৬৯০ কোটি ডলারে। ইস্পাত এবং আকরিক লোহার দাম কমলেও, সংস্থার ফল তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মিত্তল। বিশেষ করে ইউরোপে আশার আলো দেখা গিয়েছে বলেই তাঁর দাবি। অবশ্য কম দামে আমদানি করা ইস্পাত সংস্থাকে চিন্তায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন মিত্তল। উল্লেখ্য, আর্সেলর মিত্তল জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের অর্থবর্ষ মেনে চলে।