চলতি ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক ফলাফলে হতাশ করেছে ব্যাঙ্ক-বিমা শিল্প। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাঙ্ককে বাদ দিলে সাধারণ ভাবে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের এই ছবিই ধরা পড়েছে এক সমীক্ষায়।
কোটাক ইন্সটিটিউশনাল ইকুইটিজ-এর ওই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, সম্মিলিত ভাবে ব্যাঙ্ক-বিমা-সহ আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের মুনাফা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে কমেছে় এক ধাক্কায় ৩ শতাংশ। সমীক্ষকদের মতে এর মূল কারণ আয় ঢিমেতালে বাড়া এবং অনুৎপাদক সম্পদ খাতে বাড়তি অর্থের সংস্থান। প্রসঙ্গত, এই সমীক্ষাতেই ধরা পড়েছে বাকি-পড়া ঋণের চিত্রও। ওই ধরনের ঋণ বা অনুৎপাদক সম্পদের বহর বেড়ে হয়েছে মোট ঋণের ৪.৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জন্য তা ৫.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে ২.১ শতাংশ। পাশাপাশি, ঋণ দেওয়ার পরিমাণও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তেমন বাড়েনি। ১০ শতাংশ হারে তা বাড়লেও সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে তা সবচেয়ে কম। এর কারণ শিল্প সংস্থার ঋণের চাহিদা আশানুরূপ না-বাড়া। ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দায়বদ্ধতা মেনে চলতে গিয়ে সরকারি ব্যাঙ্কে ঋণ দেওয়ার হার বেড়েছে বছরে মাত্র ৬ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কে তা ১৯ শতাংশ।
সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে, তাদের ব্যালান্স শিটে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা কমার মুখ নিয়েছে। ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষই সবচেয়ে খারাপ কেটেছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। সেখান থেকে এ বার তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা বলেই মনে করছেন সমীক্ষকরাও। এই তালিকায় রয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক এবং ইয়েস ব্যাঙ্ক। তবে সরকারি ব্যাঙ্কের তালিকায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া উজ্জ্বল বলে জানিয়েছে সমীক্ষা।