প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস (এইচপিএল)। আর তার জেরে ক্ষতি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি)-এর। সংস্থার হলদিয়া শোধনাগারের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর এ সি মিশ্র রবিবার বলেন, “এইচপিএল বন্ধ থাকায় আইওসি-র বিপুল ক্ষতি হচ্ছে।” এইচপিএল চালু থাকার সময়ে মাসে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ন্যাপথা উৎপাদন করা হত। তিনি জানান, এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন।
এ দিকে, হলদিয়া রিফাইনারি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চন্দন অধিকারীও রবিবার হলদিয়ায় সংগঠনের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “এইচপিএল বন্ধ থাকায় ন্যাপথা বিক্রি নিয়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমরা চাই, আইওসি এ বার এইচপিএল অধিগ্রহণ করুক। তা হলে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেরও উন্নয়ন হবে।” অধিগ্রহণ নিয়ে আইওসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংগঠনের কথা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তাঁর দাবি, আইনি জটিলতার কারণে এই বিষয়ে এগোনো যাচ্ছে না। সঙ্কট কাটাতে আইওসি যাতে ন্যাপথা থেকে পেট্রোল উৎপাদনের জন্য ‘ক্যাটালিটিক রিফর্মিং ইউনিট’ (সি আর ইউ) সম্প্রসারণ করে, তারও দাবি তুলেছে ইউনিয়ন। প্রসঙ্গত, ৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর, আইওসি-র হলদিয়া রিফাইনারি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ৪৫ তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপিত হবে বলে জানান চন্দনবাবু।
গত ৬ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হলদিয়া পেট্রোকেম বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। পেট্রোকেমের এম ডি উত্তম কুমার বসু জানিয়েছিলেন, ন্যাপথা ক্র্যাকার ইউনিটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ‘চার্জ গ্যাস কম্প্রেসর’। সেই যন্ত্রেই ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ইউনিটটি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আর এটিই যেহেতু মূল ইউনিট, তাই তা বন্ধ হওয়ায় অন্য ইউনিটগুলিও চালু রাখা যায়নি।