বাজেটের আগে অনিশ্চিত বাজারে দ্রুত ওঠানামা করেছে সূচক। যার জেরে বুধবার এক সময়ে ২৬০ পয়েন্টেরও বেশি উঠলেও লেনদেনের শেষে সেনসেক্স ছিল আগের দিনের থেকে মাত্র ৩.৩৩ পয়েন্ট বেশি। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক দাঁড়ায় ২৯০০৭.৯৯ অঙ্কে।
ডলারে টাকার দাম অবশ্য এ দিন বেড়েছে ২৩ পয়সা। ফলে বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬১.৯৭ টাকা। গত তিন সপ্তাহে টাকার এই দরই সর্বোচ্চ। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ডলার বিক্রি করা ও বাজেট নিয়ে প্রত্যাশার জেরেই টাকার দাম বেড়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর।
এমনিতেই বাজেটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। এই সময়ে লগ্নিকারীরা কেউই বেশি ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উপরন্তু এ দিন ছিল আগাম লেনদেনে শেয়ার হস্তাম্তরের আগের দিন। যাঁরা হাতের শেয়ার খালি করতে চেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এ দিন শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায়। আজ রেল বাজেটের প্রভাবও শেয়ার বাজারে পড়বে।
বাজার সূত্রের খবর, এ দিন লেনদেনের প্রথম পর্বে সেনসেক্স ২৬০ পয়েন্ট উঠে যাওয়ার ফলে লাভের টাকা তুলে নেওয়ার ভাল সুযোগ হাতে পেয়ে যান লগ্নিকারীরা। যা তাঁরা হাতছাড়া করেননি। ফলে এক সময়ে সূচক ২৯,২৬৯ পয়েন্ট ছুঁয়েও পরে দ্রুত নেমে আসে।
অনেকেরই আশা, বাজেটে শেয়ার বাজার চাঙ্গা করার মতো কিছু রসদ থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি তার উল্টো ধারণাও রয়েছে অনেকের। তাঁরা মনে করছেন, এমনিতেই শেয়ার বাজার যেখানে উঠেছে, তাতে বেশ খানিকটা কৃত্রিমতা রয়েছে। তার উপর বাজেটে আশানুরূপ কোনও ব্যবস্থা না-থাকলে তার বিরূপ প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়বে। এই শ্রেণির লগ্নিকারীদের আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে বড় মাপের পতন হতে পারে শেয়ার সূচকের।
এই দিন যে-সব সংস্থার শেয়ার দর উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো, টিসিএস ইত্যাদি।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ দিন ইউরোপের শেয়ার বাজারগুলি পড়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি গ্রিসের ত্রাণ প্রকল্পের মেয়াদ ৪ মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ওই অঞ্চলের শেয়ার বাজারগুলিতে। তবে এ দিন এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলিতে অবশ্য সূচকের মুখ উপরের দিকেই ছিল।
বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি মঙ্গলবার ভারতের বাজার থেকে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে বলে বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি বিক্রি করেছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার।