লগ্নিকারীদের সামনে রাজ্যকে পছন্দের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে আগামী মাসে শুরু হচ্ছে সরকারি রাজসূয় যজ্ঞ ‘বেঙ্গল লিড্স’ শিল্প সম্মেলন। আর তার দিন কুড়ি আগে শহরে এসে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া রিশিয়ের জানালেন, রাজ্যের বিনিয়োগ-পরিবেশ নিয়ে ফরাসি লগ্নিকারীদের ধারণা ভাল নয়।
এ প্রসঙ্গে বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রিশিয়ের হলদিয়া বাল্ক টার্মিনাল (এইচবিটি) সংস্থার রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। ফরাসি সংস্থা লুই ড্রেফাস আর্মেচার্স ও মুম্বইয়ের সংস্থা এবিজি গাঁটছড়া বেঁধে তৈরি করে এইচবিটি। শাসক দলের বিরুদ্ধে সংস্থার আধিকারিকদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। পরিস্থিতির চাপে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হয় এইচবিটি। রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই প্রভাব ফেলে। ফরাসি লগ্নিকারীদের কাছে এ রাজ্যের ভাবমূর্তি ভাল নয়।”
এর ফলে বিনিয়োগও মার খাচ্ছে। ভারতে মোট ফরাসি লগ্নি ২,০০০ কোটি ডলার। এর সিংহভাগেরও বেশি দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে। কলকাতার অংশ সামান্য। তিনি বলেন, “প্রতিযোগি -তার বাজারে সব রাজ্যই লগ্নি টানতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিকাঠামোর সঙ্গে বজায় রাখা চাই আইন-শৃঙ্খলাও।”
এইচবিটি-র সমস্যা এখনও মেটেনি বলে জানান রিশিয়ের। তাঁর অভিযোগ, সংস্থার যন্ত্রপাতি এখনও এখানে পড়ে মরচে ধরছে। তবুও আইনি জালে জড়িয়ে তা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলছে না। এ নিয়ে রাজ্যের অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
কলকাতা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রিশিয়ের।
এ দিন সিআইআই-এর এক অনুষ্ঠানে টিটাগড় ওয়াগন্স-এর এমডি উমেশ চৌধুরীকে ‘নাইট অর্ডার অব মেরিট’ সম্মানে ভূষিত করেন রিশিয়ের।