বাজারে আসার পর এখনও তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি সোনা জমা প্রকল্প। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো ছবি প্রথম দফার গোল্ড বন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বন্ড কিনতে খুচরো লগ্নিকারীদের তরফে জমা পড়েছে প্রায় ৬৩ হাজার আবেদনপত্র। যেখানে ৯১৭ কেজি সোনা কেনার জন্য ওই আবেদনের মোট মূল্য ২৪৬.২০ কোটি টাকা। যা দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনের মন্তব্য, ‘‘এ রকম প্রতিক্রিয়া খুবই ভাল ও উৎসাহজনক।’’ গত ৫ থেকে ২০ নভেম্বর প্রথম দফায় ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর মারফত গোল্ড বন্ড বাজারে ছাড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তবে সোনা জমা প্রকল্পকে চাঙ্গা করতে তাতে কিছু বদল আনা জরুরি বলে জানিয়েছেন রাজন। অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি, প্রথম ক’দিনে এ নিয়ে উৎসাহ বেশ কম বলে অভিযোগ ওঠায় প্রকল্পকে আরও ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। এবং সেই উদ্দেশ্যে সাতটি পদক্ষেপও করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক রাজি থাকলে সোনা জমা বা পরীক্ষা কেন্দ্রকে এড়িয়ে সরাসরি সোনা গলানোর কেন্দ্রে তা জমার সুযোগ, সোনা গলানোর কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে ভারতীয় মানক ব্যুরো বা বিআইএসের ছাড়পত্র দেওয়ার শর্ত শিথিল, সচেতনতা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া, রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রে আরও জোরদার প্রচার ইত্যাদি।
বাজার আসার পর প্রথম ১৪ দিনে স্বর্ণ জমা প্রকল্পে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ৪০০ গ্রাম সোনা। সংশ্লিষ্ট মহল তাই দেশের প্রায় ১৩,০০০ বিআইএস স্বীকৃত গয়না বিক্রেতাকেই সোনা জমা নেওয়ার অনুমতি দিতে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। যা নৈতিক ভাবে মেনেও নেয় অর্থ মন্ত্রক। তাদের দাবি, সোনা জমা ও পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কাজের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ওই স্বীকৃত গয়না বিক্রেতাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চেয়েছে বিআইএস। তবে বিআইএস স্বীকৃত সোনা গলানোর কেন্দ্রের সঙ্গে জোট থাকতে হবে তাদের।