জোট এয়ারটেলের সঙ্গে

ভারতে এ বার বিপণিতেও জিয়োমি-র ফোন

ইন্টারনেটের পরে এ বার খুচরো বিপণি। গত বছর জুলাইয়ে ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতের বাজারে পা রেখেছিল মোবাইল নির্মাতা জিয়োমি। আর এ বার খুচরো বিপণিতে রেডমি নোট ৪-জি ফোন বিক্রি শুরু করল চিনা সংস্থাটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৪
Share:

দিল্লির বাজারে সংস্থার আনা প্রথম ফোন। ছবি: রয়টার্স।

ইন্টারনেটের পরে এ বার খুচরো বিপণি।

Advertisement

গত বছর জুলাইয়ে ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতের বাজারে পা রেখেছিল মোবাইল নির্মাতা জিয়োমি। আর এ বার খুচরো বিপণিতে রেডমি নোট ৪-জি ফোন বিক্রি শুরু করল চিনা সংস্থাটি। সঙ্গী দেশের টেলি পরিষেবা সংস্থা এয়ারটেল।

ছ’সেকেন্ড! ১০ সেকেন্ড! গত কয়েক মাসে ‘ফ্ল্যাশ সেল’-এর মাধ্যমে ফ্লিপকার্টের ওয়েবসাইট থেকে চোখের নিমেষে বিক্রি হয়ে গিয়েছে জিয়োমি-র মোবাইল মি-৩ অথবা রেডমি ১-এস। এই পদ্ধতিতে আগে থেকে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় ফোন বিক্রির কথা ঘোষণা করে সংস্থা। ফোনটি হাতে পেতে বুক-ও করতে হয় আগেই। ভাঁড়ারে যতক্ষণ ফোন মজুত থাকে, বিক্রিও হয় ততক্ষণই। জিয়োমির ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ডেই যা ফুরিয়ে গিয়েছে প্রায় প্রতিবারই। ফলে অপেক্ষায় থাকা, আবার কবে ফোন বিক্রির ঘোষণা করবে তারা। এত দিন এ ভাবেই বিক্রি চালিয়ে গেলেও, এ বার এয়ারটেলের বিপণিতেও নিজেদের ফোন বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা।

Advertisement

আপাতত দেশ জুড়ে ছ’টি শহরে এয়ারটেলের ১৩৩টি বিপণিতে রেডমি নোট ৪-জি ফোনটি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে টেলি পরিষেবা সংস্থা। নেটে ফোন বিক্রির কারণে বিপণন ও অন্যান্য খরচ প্রায় থাকে না বলে, সেখানে কম দামে ফোন বিক্রি সম্ভব হয়। বিপণির ক্ষেত্রেও দাম কম রাখতে এয়ারটেলের পরিষেবার সঙ্গে জোট বেঁধে বা অন্য কিছু সুবিধা কমিয়েও দর সাধ্যের মধ্যে বেঁধে রাখা হতে পারে।

ভারতে জিয়োমি-র প্রধান মনু জৈন জানান, ফ্লিপকার্টের সঙ্গে জোট বেঁধে নেটে ফোন বিক্রির কারণে অতি অল্প সময়ে দেশে ১,০০০-এর বেশি শহরের বাজার ধরতে পেরেছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও অনেক ক্রেতাই ফোন হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখে কেনা পছন্দ করেন। চিনেও সংস্থার মোট বিক্রির ৩০ শতাংশই হয় বিপণিগুলিতে। যে কারণে এখানেও সেই পথেই হাঁটতে চান তাঁরা।

চাহিদা কেমন থাকে, তা বুঝে আগামী দিনে অন্যান্য মডেলের ফোনও এ ভাবে বিক্রি করতে পারে চিনে তথ্যপ্রযুক্তি জগতে ‘অ্যাপল’ নামে পরিচিত এই সংস্থা। উল্লেখ্য, আর কয়েক দিনের মধ্যেই নিজেদের দামি ফোন মি-৪ আনার কথা তাদের।

২০১৪ সালে সারা বিশ্বে ৬.১১ কোটি মোবাইল বিক্রি করেছে জিয়োমি। যার মধ্যে ভারতের অবদান অন্যতম। যারা চিনের বাইরে সংস্থার বৃহত্তম বাজারও বটে। গত মাসেই এরিকসনের সঙ্গে পেটেন্ট সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে কয়েক দিন ভারতে ফোন বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। পরে অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়। তার পরেই নিজেদের বিক্রির পদ্ধতি পাল্টানোর এই ঘোষণা করল সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন