গাস্টো প্রদর্শনে পবন গোয়েন্কা।
দেশে বড় চার চাকার গাড়ি (ইউটিলিটি ভেহিকল্) তৈরিতে প্রথম সারিতে জায়গা পোক্ত করার পর এ বার দু’চাকার বাজার দখলের লক্ষ্যেও কোমর বাঁধছে মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ওই বাজারের তীব্র প্রতিযোগিতায় যুঝে টিকে থাকতে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত ৮০ হাজার স্কুটার ও মোটরসাইকেল বিক্রি করা জরুরি। দু’তিন বছরের মধ্যে সেই লক্ষ্য ছুঁতেও চায় তারা। আর এই দৌড়ের অঙ্গ হিসেবেই বাজারে ১০০ সিসি-র নতুন স্কুটার ‘গাস্টো’ আনল গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা মহীন্দ্রা টু হুইলার্স।
ছ’বছর আগে স্কুটার নির্মাতা কাইনেটিক-কে অধিগ্রহণ করেছিল মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। কাইনেটিকের ১২৫ সিসি-র দু’টি স্কুটার এখনও তৈরি হয়। কিন্তু ভারতের স্কুটার বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশই ১০০ এবং ১১০ সিসি-র স্কুটারের দখলে। ফলে এখন ১০০ সিসি-র গাস্টো সেই বাজার ধরতে তাদের অন্যতম বাজি হবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
পুণে কারখানায় সেঞ্চুরো মোটরসাইকেল তৈরি করে মহীন্দ্রা। সেখানেই ৬৫ কোটি টাকা ঢেলে গাস্টো তৈরির পরিকাঠামো গড়েছে সংস্থাটি। যা তাদের প্রথম নিজস্ব দু’চাকার গাড়ি। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এবং তাতে বেশ কিছু নতুন সুবিধা মিলবে বলেও সংস্থার দাবি। আপাতত এই স্কুটার মিলবে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বাজারে। তবে এ বছরের শেষে পূর্বাঞ্চলের বাজারেও তা আসবে বলে কর্তাদের দাবি।
এখন দু’টি স্কুটার (গাস্টো ছাড়া) ও মোটরসাইকেল ধরে মাসে ২০ হাজার দু’চাকার গাড়ি বিক্রি করে মহীন্দ্রা। ফলে তাদের সার্বিক গাড়ি ব্যবসার মাপকাঠিতে দু’চাকার গাড়ি ব্যবসা এখনও নামমাত্র। যে কারণে দু’দিন আগেই মুম্বইয়ে গাস্টো-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনেও মহীন্দ্রার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েন্কা জানান, এখনই দু’চাকার গাড়ি ব্যবসায় মুনাফা কিংবা না-লাভ-না-ক্ষতির জায়গায় পৌঁছনোর কথা ভাবছেন না তাঁরা। তাঁর দাবি, বছর দু’তিনেকের মধ্যে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি মাসে ৮০ হাজার ছুঁলে এই শিল্পে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবে তাঁর সংস্থাও।
মহীন্দ্রার আর এক কর্তা রাজেশ জেজুরিকারেরও দাবি, ১০০ সিসি-র নতুন স্কুটার সংস্থাকে ওই বাজারে জনপ্রিয় করবে। সাহায্য করবে বাজার ধরতে। তাঁদের আশা, দেরিতে শুরু করেও দু’চাকার গাড়ি-বাজারে নিজের জায়গা করে নেবে মহীন্দ্রা। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে অগস্ট পর্যন্ত দেশে স্কুটারের ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ৩০.৭২%। মোটরসাইকেলের ১০%। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই বাজার দখলে কোমর বাঁধছে মহীন্দ্রা। জেজুরিকার জানান, নতুন স্কুটারের পর আগামী বছর ৩০০ সিসি-র মোটরসাইকেলও বাজারে আনবেন তাঁরা। এবং তা তৈরি হবে পুণের ওই কারখানাতেই।