রফতানি কমা সত্ত্বেও বাণিজ্য ঘাটতি পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন

গত আট মাসে এই প্রথম রফতানি কমলো ভারতের। ফেব্রুয়ারিতে তা ৩.৬৭% কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৬৮ কোটি ডলার (প্রায় ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা)। যার জেরে চলতি অর্থবর্ষে ৩২,৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৯.৮২ লক্ষ কোটি টাকা) রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না-পারার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে ওই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি (আমদানি ও রফতানির ফারাক) নেমে এসেছে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০২:৪৫
Share:

গত আট মাসে এই প্রথম রফতানি কমলো ভারতের। ফেব্রুয়ারিতে তা ৩.৬৭% কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৬৮ কোটি ডলার (প্রায় ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা)। যার জেরে চলতি অর্থবর্ষে ৩২,৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৯.৮২ লক্ষ কোটি টাকা) রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না-পারার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে ওই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি (আমদানি ও রফতানির ফারাক) নেমে এসেছে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে। অর্থনীতির ভিত মজবুত রাখতে এই মুহূর্তে যে ঘাটতি কমিয়ে আনা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

Advertisement

রফতানি বাড়লেও আমদানি খাতে খরচ কমার কারণেই কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। যা সম্ভব হয়েছে সোনা আমদানি বিপুল পরিমাণে কমার ফলে। বস্তুত, মাত্র ক’দিন আগে সরকারের আর এক মাথাব্যথার বিষয়, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ঘাটতিও (বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের ফারাক) ৮ বছরে সর্বনিম্ন হওয়ার নজির গড়েছে।

মঙ্গলবার কেন্দ্র প্রকাশিত গত ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই মাসে রফতানি ৩.৬৭% কমেছে। যেখানে চার মাস আগে, অক্টোবরেই তা ১৩.৪৭% হারে বেড়েছিল। পরের তিন মাসে অবশ্য বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের নীচে নেমে যায়। ফেব্রুয়ারিতে রফতানির এই খারাপ ফলের কারণ হিসেবে মূলত এ দেশ থেকে পেট্রোলিয়াম, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ওষুধের সরবরাহ কমে যাওয়াকেই দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনায় চিন্তিত রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও-র প্রেসিডেন্ট রফিক আহমেদের অভিযোগ, চড়া সুদ ও শুল্ক ফেরত পাওয়া নিয়ে সমস্যাই এর কারণ। ওই বাবদ রফতানিকারীদের প্রাপ্য বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে পণ্যের চাহিদা থাকলেও, সেই সুযোগ নেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

রফতানির এই ম্লান ছবি অবশ্য কিছুটা ঢেকে দিয়েছে আমদানি ১৭.০৯% কমায় বাণিজ্য ঘাটতি ৮১৩ কোটি ডলারে (৪৯ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা) নেমে আসার স্বস্তি। যার কারণ মূলত সোনা-রুপোর আমদানি ৭১.৪২% কমে আসা। কারণ ভারত সব থেকে বেশি খরচ করে তেল আমদানিতে। আর তার পরেই সোনায়। ফেব্রুয়ারিতে সোনা-রুপোর আমদানি কমে হয়েছে ১৬৩ কোটি ডলার। এক বছর আগে তা ছিল ৫৭১ কোটি ডলার। তেল আমদানিও ৩.১% কমেছে। ফলে আমদানি নেমে হয়েছে ৩৩৮১ কোটি ডলার (২.০৬ লক্ষ কোটি টাকা)। বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বদলানোয় সোনা আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন