মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে রঘুরাম রাজন। ছবি: এএফপি
সুদ সেই একই রইল। প্রত্যাশিত ভাবেই। এবং এই নিয়ে টানা চার বার। মঙ্গলবারের ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন ফের স্পষ্ট বোঝালেন যে, বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরানোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মেলাতে তাঁরা তৈরি। কিন্তু ভারসাম্যের দড়িতে হেঁটে। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার লক্ষ্য থেকে এক চুলও না সরে।
খুচরো ও পাইকারি বাজারে মূল্যস্ফীতির হার এখনও যথেষ্ট চড়া। তাই শীর্ষ ব্যাঙ্ক যে এখনই সুদ কমানোর পথে হাঁটবে না, তা প্রত্যাশিতই ছিল। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে এ দিন রেপো রেট (স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদে ধার দেয়) অপরিবর্তিতই রেখেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু অনেকে আশা করেছিলেন স্ট্যাটুইটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) হয়তো কিছুটা কমাবে তারা। যাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে শিল্পকে ঋণ দেওয়া কিছুটা সহজ হয়। কিন্তু এ দিন সেই এসএলআর-ও (যে অনুপাত মেনে বাধ্যতামূলক ভাবে সরকারি ঋণপত্রে লগ্নি করতে হয় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে) একই রেখেছেন রাজন। বার্তা স্পষ্ট, বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার সামান্য সম্ভাবনা থাকা পর্যন্ত সুদ কমাবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব জি এস সাঁধু এ দিন বলেন, ঠিক সময়েই সুদ কমাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শিল্পমহল অবশ্য এই সিদ্ধান্তে হতাশ।
শীর্ষ ব্যাঙ্ক মনে করছে, আগামী জানুয়ারির মধ্যে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হারকে বেঁধে ফেলা যাবে ৮ শতাংশের মধ্যে। আর ২০১৬ শুরুর সময় তা নেমে আসবে ৬ শতাংশে। চলতি ও পরের আর্থিক বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি যথাক্রমে ৫.৫% ও ৬.৩% হবে বলেও আশাবাদী তারা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিশ্রুতি, ছোট ও পেমেন্টস ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে নভেম্বরের মধ্যে। চালিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সংস্কারও। একই সঙ্গে রাজন জানান, স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপির সংজ্ঞাও ঢেলে সাজছেন তাঁরা। যাতে ওই সব সংস্থার ডিরেক্টরদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা যায়।