এ বার সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতাল চালু হল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী সমবায় সমিতির উদ্যোগে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের লক্ষ্য কম আয়ের মানুষের নাগালে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া।
স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সেল)-র কর্মী সমবায় সমিতি ‘ইস্পাত কোঅপারেটিভ’ হাসপাতালটি গড়ে তুলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের কাছে কালিকাপুর তেমাথায়। সাধারণত কোনও সংস্থার সমবায় সমিতি সেই সংস্থার কর্মী সদস্যদের জন্যই বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ করে। সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা দিতে তারা বাধ্য নয়। জনসাধারণের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গড়ে এ ক্ষেত্রে সেল সমবায় সমিতি নজির গড়ল বলেই দাবি তাদের।
ইস্পাত কোঅপারেটিভের সম্পাদক ও ওই হাসপাতালের কর্ণধার জ্যোর্তিময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উদ্দেশ্য ছিল, যে-অঞ্চলে উন্নত মানের চিকিৎসার তেমন ব্যবস্থা নেই, সেখানে হাসপাতাল গড়া। এই কারণেই কালিকাপুরকে বেছে নিয়েছি। লক্ষ্য এই হাসপাতালে এসে রোগীরা যেন চিকিৎসার সুবিধা পান। মুনাফা করার উদ্দেশ্য আমাদের নেই। চিকিৎসার খরচ নিম্ন আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখাই লক্ষ্য। খরচ চালিয়ে উদ্বৃত্ত হলে, তা হাসপাতালের উন্নতির জন্য খরচ করা হবে।’’
এটি গড়তে খরচ হয়েছে ২২ কোটি টাকা। সবটাই জুগিয়েছে সেলের সমবায় সমিতি। ছ’একর জমিতে তৈরি হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি শয্যা থাকবে। জ্যোর্তিময়বাবু জানান, ২ বছরের মধ্যেই সেখানে ২০০ শয্যার ব্যবস্থা করা এবং ব্লাড ব্যাঙ্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলি করতে আরও ১০ কোটি খরচ হবে বলে জানান তিনি। সম্প্রসারণের খরচ সমবায় সমিতিই বহন করবে। নার্সিং কলেজ এবং প্যারা- মেডিক্যাল কলেজ গড়ার ইচ্ছাও রয়েছে সমিতির।
হাসপাতালের পরিকাঠামোর ব্যাপারে জানাতে গিয়ে সিইও পলাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আইসিইউ, মডিউলার অপারেশন থিয়েটার ছাড়া ১৪টি বিভাগ আপাতত চালু করা হয়েছে। ব্যবস্থা রয়েছে সাপের কামড়ের চিকিৎসারও।’’
হাসপাতালটি কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালসের সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্যও আবেদন করেছে বলে জানান জ্যোতির্ময়বাবু।