ভারতের অর্থনীতিকে ঘিরে সার্বিক ভাবে উদ্বেগ কাটছে। ক্রমেই স্পষ্ট দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরার লক্ষণ। যৌথ সমীক্ষায় এই ইঙ্গিত দিল বণিকসভা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) ও ব্যাঙ্ক কর্ণধারদের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)।
সমীক্ষার দাবি, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের ‘আর্থিক অবস্থার সূচক’ বা ‘ফিনান্সিয়াল কন্ডিশন্স ইন্ডেক্স’ বেড়ে ছুঁয়েছে ৭০.৩। আগের ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে তা ছিল অনেকটাই নীচে, ৬৭.৮ অঙ্কে। উল্লেখ্য, এই সূচক ৫০-এর উপরে থাকলে তা উন্নয়নের ইঙ্গিত বলে ধরা হয়। আর ৫০-এর নীচে থাকলে মনে করা হয় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হচ্ছে। দেশের প্রথম সারির ৩৬টি ব্যাঙ্ক (যার মধ্যে ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত) ও আর্থিক সংস্থা সমীক্ষায় সামিল হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মঙ্গলবার তার ঋণনীতি ফিরে দেখার আগে প্রকাশিত এই রিপোর্ট অর্থনীতির হাল ফেরার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণও চিহ্নিত করেছে। সেগুলি হল:
•ঋণে সুদ কমার জেরে শিল্পের খরচ নেমে আসা
•নগদের যথেষ্ট জোগান
•বিশ্ব বাজারে মন্দার প্রভাব কমা
•দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়া
সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের অর্থনীতির হাল ফেরা এবং ভবিষ্যতে তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়াটা স্বস্তির। এর জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও উন্নয়নে উৎসাহ জোগানোর নীতি চালাতে পারবে।’’ আইবিএ-র চেয়ারম্যান এবং দেনা ব্যাঙ্কের সিএমডি অশ্বিনী কুমার বলেন, ‘‘সূচকের মুখ যে এ বার উপরের দিকে থাকবে, সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে সমীক্ষা। চলতি অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক শুরুর ঠিক আগে আরবিআই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়ায় বেশির ভাগ সংস্থাই মনে করছে তাদের তহবিল সংগ্রহের খরচ কমের দিকেই থাকবে। এই আশার প্রতিফলনই পড়েছে সমীক্ষায়।’’
প্রসঙ্গত, সিআইআই-আইবিএ ‘ফিনান্সিয়াল কন্ডিশন্স ইন্ডেক্স’ চালু হয় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেই।