মেট্রো শহরের উপর চাপ কমাতে বাজেটে দেশজুড়ে ১০০টি স্মার্ট সিটি গড়ার প্রস্তাব পেশ করেছে কেন্দ্র। এ বার সেই স্মার্ট সিটি-র হাত ধরেই দেশে ব্যবসার চাকা ঘোরাতে চায় ফ্যান শিল্প। একই সঙ্গে, রফতানি বাড়াতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও গড়তে চায় তারা।
সোমবার বার্ষিক সভার পরে ইন্ডিয়ান ফ্যান ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএমএ) বিদায়ী চেয়ারম্যান শেখর বজাজ ও নতুন চেয়ারম্যান রোহিত মাথুর জানান, ২০১২-’১৩-তে এই শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২৯%। ২০১৩-’১৪ সালে ২.৬৫%। তার মধ্যে আবার দেশের বাজারের হাল ছিল রফতানির তুলনায় খারাপ। তাঁদের আশা, স্মার্ট সিটি-র প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, সেখানে তৈরি হবে প্রায় ৫০ লক্ষ বাড়ি। তাই সেখানকার বাড়তি চাহিদা, আরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো এবং আবাসন শিল্পের সার্বিক প্রসার ঘুরিয়ে দাঁড় করাবে ফ্যানের বাজারকে। তা ছাড়া, ভারতে কম দামের চিনা টেবিল ফ্যানের কদর কিছুটা স্তিমিত হওয়াও আশা জুগিয়েছে এ দেশের ফ্যান শিল্পকে। বজাজ এবং মাথুরের দাবি, চিনের মুদ্রার দাম বৃদ্ধি, টাকার পতন, আমদানি শুল্ক, পরিবহণ খরচ ইত্যাদি কারণে চিনা ফ্যানের দাম বেড়েছে। ফলে ভারতীয় ফ্যানের সঙ্গে দামের ফারাকও কমেছে। তাই সেই বাজার কব্জা করতে কোমর বাঁধছেন তাঁরা। এ ছাড়া, পাকিস্তানে রফতানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি সে দেশের ফ্যান শিল্পকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিল আইএফএমএ। পাক মুলুকে দামি সিলিং ফ্যান রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।