সুব্রত রায়ের জামিনের টাকা জোগাড়ের জন্য অবশেষে সহারাকে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের সম্পত্তি বিক্রির অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ জন্য সংস্থাকে তাদের ঋণদাতা ব্যাঙ্ক অব চায়নার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে বলেছে আদালত। সে ক্ষেত্রে ওই আলোচনা থেকে কোন পথে কী করার দিশা মিলছে বা সম্পত্তিগুলির মূল্য এই মুহূর্তে কত ইত্যাদি তথ্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে শীর্ষ আদালতকে। পাশাপাশি, তহবিল জোগাড়ের জন্য সংস্থার দেশীয় সম্পত্তি বিক্রিতেও সায় দিতে রাজি বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। তবে সহারা কর্তাকে জেল থেকে ছেড়ে গৃহবন্দী রাখার আর্জি প্রসঙ্গে এ দিন রায়দান স্থগিত রাখে টি এস ঠাকুর এবং এ কে সিক্রির বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে সহারা। তাদের দাবি, সুব্রতবাবু ও দুই ডিরেক্টরের ছাড়া পাওয়ার পথ তৈরি করল এই নির্দেশ, যা অনেক মাস পর স্বস্তি দিল তাদের।
এ দিন জামিনের ১০ হাজার কোটি টাকা জমার নতুন প্রস্তাবও পেশ করে সহারা। সেখানে বলা হয়, পাঁচ দিনের মধ্যে ৩,০০০ কোটি ও তার ৩০ দিনের মধ্যে ২,০০০ কোটি নগদ দেওয়া হবে। ৫,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়া হবে লন্ডনের একটি ও নিউ ইয়র্কের দু’টি হোটেলে সংস্থার অংশীদারি বিক্রির ৬০ দিনের মধ্যে। এ দিনের শুনানিতে গোষ্ঠীর তরফে যুক্তি ছিল, বিদেশের হোটেলগুলিতে তাদের শেয়ার বিক্রি না-করলে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির ব্যবস্থা করা কার্যত অসম্ভব। আর সম্পত্তি বিক্রির এই সব চুক্তি কার্যকর করতে জেলের বদলে সুব্রতবাবুকে গৃহবন্দী রাখার অনুমতি জরুরি। এই আর্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোয় অবশ্য বেঞ্চ সেবির আইনজীবীকে বলে, “টাকা দাবি করবেন আবার তা জোগাড়ের পথও বন্ধ রাখবেন, দু’টো একসঙ্গে চলে না।”