নব্যবঙ্গীয় শিল্পের সূতিকাগার

দেড়শো বছর পেরিয়ে গেল সরকারি শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট। ২৮ জওহরলাল নেহরু রোডের বাড়িতে এই সে দিন ধুমধাম করে পালিত হল সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠান।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৭
Share:

দেড়শো বছর পেরিয়ে গেল সরকারি শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট। ২৮ জওহরলাল নেহরু রোডের বাড়িতে এই সে দিন ধুমধাম করে পালিত হল সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠান। ১৮৫৪ সালে স্কুল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট হিসেবে সূচনা, ১৮৬৫-তে গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্ট, ১৯৫১ সালে আজকের পরিচয়ে পৌঁছনো। তবে শুরুরও শুরু আছে। ১৮৫৪ সালে বেথুন সোসাইটিতে কর্নেল গুডউইনের এক বক্তৃতার জেরে তৈরি হয় সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট বা শিল্পবিদ্যোৎসাহিনী সভা। বিশিষ্টজনের অর্থসাহায্যে, পাইকপাড়া রাজপরিবারের প্রতাপচন্দ্র সিংহ-ঈশ্বরচন্দ্র সিংহের বদান্যতায় গরানহাটায় বিনা ভাড়ায় পাওয়া বাড়িতে ক্লাস শুরু হল ১৬ অগস্ট ১৮৫৪। তিন মাসেই তা স্থানান্তরিত হল কলুটোলায় মতিলাল শীলের একটি বাড়িতে। ২৯ জুন ১৮৬৪ সরকার স্কুলের দায়িত্ব হাতে নিল। বাড়িও বদলাল, নতুন ঠিকানা ১৬৬ বউবাজার স্ট্রিট। ভারতীয় সংগ্রহশালার পাশে নতুন বাড়িতে স্কুল উঠে এল ১৮৯২-এ। সেখানেই কেটে গেল ১২৫ বছর।

Advertisement

দেশের সাংস্কৃতিক জাগরণে বড় ভূমিকা ছিল এই প্রতিষ্ঠানের। হেনরি হোভার লক-এর নেতৃত্বে ইউরোপীয় ধাঁচের শিক্ষা থেকে হ্যাভেল-এর ওরিয়েন্টাল আর্টের উপর গুরুত্ব, অবনীন্দ্রনাথের (ছবিতে) নেতৃত্বে নব্যবঙ্গীয় শিল্পধারার উন্মেষ এই প্রতিষ্ঠানকে যে চরিত্র দিয়েছিল, তার দৃঢ় ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে সে আজও নানা উত্থানপতনের মধ্যে সেই ধারার অনুবর্তন করে চলেছে। অন্নদাপ্রসাদ বাগচী, রণদাপ্রসাদ গুপ্ত, শশী হেস, ফণীন্দ্রনাথ বসু, অসিতকুমার হালদার, সমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত, নন্দলাল বসু, যামিনী রায়, যামিনীপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়, অতুল বসু, জয়নুল আবেদিন, সমর ঘোষ, অন্নদা মুন্সি, মাখন দত্তগুপ্ত থেকে আধুনিক পর্বের অনেক বিশিষ্ট শিল্পীই এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন