আলোয় আলো।—নিজস্ব চিত্র
রাজনীতির বা দলবাজির প্রবল কোলাহল ছিল। যুদ্ধ নিয়ে জিগির ছিল। কোথাও হিংসা ছিল, কোথাও বিদ্বেষ ছিল, কোথাও হয়তো সামাজিক অন্যায় ছিল, কোথাও ছিল যন্ত্রণা।
‘ছিল’ বলাটা বোধ হয় ঠিক নয়, সবই ‘রয়েছে’ এখনও। কিন্তু উহ্য রয়েছে সব আপাতত। কারণ উৎসব পূর্ণাঙ্গে হাজির ঘর-গৃহস্থালীতে।
দেবীর বোধন হয়ে গিয়েছে। যা কিছু অশুভ, সে সবের উপর শুভ শক্তির বিজয়ের ক্ষণ এ। আপামর বাঙালি মানসে তার ছাপ স্পষ্ট। নেতি ভুলে নিখাদ, নির্মল উৎসবে সামিল বাঙালি। হিংসা, দ্বেষ, হানাহানি, আর রাজনীতির ভাঙাগড়ার খেলা আপাতত শিকেয় তোলা। পুজোর পাঁচটা দিন অন্য ছন্দে জীবন, জমাট আবহে জীবনের উদযাপন।
শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বোধ হয় এই কারণেই। পারিপার্শ্বিকতায় ঋণাত্মক স্রোত যেখানে যতটুকু, সবই লহমায় শক্তি হারায় এ উৎসবের দিনে। বাংলার সব পথ জীবনের দিকে মুখ ফেরায়, উৎসবের মোড়ে এসে মিশে যায়। অশুভের বিরুদ্ধে শুভের জয়ের এর চেয়ে মহৎ দৃষ্টান্ত আর কী-ই বা?
উৎসবের সব দিন আনন্দময় হোক। শারদোৎসব আনন্দে কাটুক, জীবনের উদযাপনে কাটুক।