তামিলনাড়ু বিধানসভার ভিতরের তাণ্ডবদৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
শনিবার তামিলনাড়ু বিধানসভার ভিতরের যে তাণ্ডবদৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ, তাতে আর নতুন করে চমকিত হওয়ার মতো কোনও উপকরণ ছিল না। এই দৃশ্য গত অনেকগুলো বছর ধরে রাজ্যে রাজ্যে এবং সংসদের মধ্যেও বারংবার দেখে চামড়াগুলো মোটা করে নিয়েছি আমরা। অতএব, নতুন করে খুব লজ্জার অবকাশ তৈরি হয়, এমনটা নয়। না তাঁরা, যাঁরা এই কাণ্ডগুলো ঘটিয়ে যাচ্ছেন, না আমরা, যারা এগুলো দেখেই চলেছি ক্রমাগত, কেউই আর লজ্জা পায় না।
অথচ গণতন্ত্রের পীঠস্থানে কুস্তির এহেন কসরতে আমাদের লজ্জিত হওয়ারই কথা ছিল। অসংখ্য মানুষ তাঁদের কথা তুলে ধরার জন্য যে প্রতিনিধিদের নির্বাচন করে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা শব্দ-বাক্য-যুক্তি-তর্কের পথে হাঁটার বদলে আস্তিন গোটাচ্ছেন, ঘুষি মারছেন, চেয়ার ভাঙছেন, মাইক উপড়ে নিচ্ছেন! গণতন্ত্রের মৌলিক শর্তকে সাগরে ছুড়ে দিয়ে পীঠস্থানকে পরিণত করছেন বলপ্রয়োগের ও পেশীপ্রদর্শনের আখড়ায়, নির্লজ্জতার কোন সীমাছাড়া পর্যায়ে গেলে এটা করা যায়, এই বোধটাও হয়তো বা বিলুপ্ত হতে বসেছে।
এবং মজাটা হচ্ছে, সবাই জানেন এটা অন্যায়। শুধু ন্যায়-অন্যায়ের সংজ্ঞাটা নির্ধারণ হয়ে যায়, আমি শাসক না কি বিরোধী। শাসক হলে অন্যায়, বিরোধী হলে ন্যায়!
জানেন সবই। শুধু একটা আর্ষবাক্য ভুলে যান হয়তো বা রাজনীতির এই বাহুবলী কারিগরেরা। তেলের শিশি ভাঙলে যেন কোনও খুকুর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করবেন না। পাল্টা প্রশ্নটা কিন্তু কঠোর শোনাবে, তোমরা যে সব বুড়ো খোকা...?
নাকি সেটাও গায়ে লাগবে না? চামড়াটা বেশিই পুরু হয়ে গিয়েছে?