দিল্লি ডায়েরি

বিড়ম্বনায় কপিল সিব্বল। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হারের কিছু দিন পর দলের এই আইনজীবী নেতা ফোন পেতে শুরু করেন, দলে যাঁরা বিক্ষুব্ধ, তাঁদের নিয়ে কি কোনও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন? আপনি কি দল ছাড়ছেন?

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০১:০৩
Share:

গুজবে কান দিতে বারণ কপিলের

Advertisement

বিড়ম্বনায় কপিল সিব্বল। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হারের কিছু দিন পর দলের এই আইনজীবী নেতা ফোন পেতে শুরু করেন, দলে যাঁরা বিক্ষুব্ধ, তাঁদের নিয়ে কি কোনও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন? আপনি কি দল ছাড়ছেন? সকলকে বোঝাতে বোঝাতে হয়রান সিব্বল। দিল্লি পুরভোটের হারের পর ফের গুজব, ‘সব কি কংগ্রেস’ বলে একটি নতুন দল নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করেছেন সিব্বল। ফের ফোনের বন্যা। কপিল বলেন, পুরোটাই গুজব। দরকার হলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে খোঁজ করুন।

হয়রান: জল্পনায় না কপিল সিব্বলের

Advertisement

দুই জয়ন্ত

দিল্লিতে হাই প্রোফাইল ক্লাবের সদস্য হওয়া বেশ কঠিন। বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয় জিমখানা বা ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের সদস্য হতে গেলে। একই ছবি দিল্লি গল্ফ ক্লাবেরও। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হিসাবে বছরে দু’জনকে ওই ক্লাবের সদস্যপদ দেওয়ার অধিকার আছে বেঙ্কাইয়া নাইডুর। এ বার সেই টিকিট বণ্টনেও রাজনীতির ছায়া। দু’টি সদস্যপদ পেয়েছেন দুই জয়ন্ত। এক জন আডবাণী-পুত্র। অন্য জন যশবন্ত সিন্হার পুত্র। দুই পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সুযোগ দুই জয়ন্তের।

মান্নানকে নিয়ে জল্পনা

বিজেপির সদর দফতর ১১ অশোক রোডে আলোচনা হচ্ছিল আব্দুল মান্নানকে নিয়ে। কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোড নয়, অশোক রোডে আব্দুল মান্নানকে নিয়ে আলোচনা কেন? বিজেপি শিবিরের গুজব, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে দলে আসার জন্য টোপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মান্নান কি শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে আসতে পারেন? এক বিজেপি নেতা বলেন, ধুতি পরা মুসলমান নেতা মুজিবর রহমান ছিলেন, আর কেউ আছে বলে জানা নেই। বিজেপির সাধ, এহেন সংখ্যালঘু নেতা বিজেপিতে যোগ দিন। কিন্তু তা বলে বিজেপি? মান্নান নিজে এই জল্পনা অস্বীকার করেছেন। যেমন জল্পনা উড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। কিন্তু দিল্লিতে রটনা, বিজেপি যেমন বিধানসভা নির্বাচনের আগে চেষ্টা করেছিল, ঠিক সে ভাবেই এখনও শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে টোপ দিয়ে রেখেছে।

‘বিএসপি’ মার্গ

দিল্লির একটি পরিচিত রাস্তা সত্যপ্রকাশ মালব্য মার্গ। সংক্ষেপে এসপি মার্গ। দিল্লি দরবারের সর্বশেষ খবর, এই রাস্তাটির নাম এখন দাঁড়িয়েছে বিএসপি মালব্য মার্গ। আসলে ওই রাস্তার উপরে সাতটি বাংলো বেনামে কিনে রেখেছিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তাই নিন্দুকের মুখে ‘এসপি’ থেকে রাস্তার নাম ‘বিএসপি’ মার্গ। তার মধ্যে একটি বাংলোর মালিক মায়াবতীর ভাই আনন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলোর প্রকৃত মালিককে খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে মায়াবতীর নাম। এখন তাঁর বেনামি সম্পত্তির অভিযোগ নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত। ওই রাস্তায় রয়েছে দিল্লির দু’টি পাঁচতারা হোটেল। সেখানে নৈশভোজের আড্ডায় মুখে মুখে ঘুরছে রাস্তার নাম বদলের কাহিনি!

আনন্দে অরবিন্দ

‘থোড়া ড্রামা হোনা চাহিয়ে, থোড়া ট্র্যাজেডি, থোড়া কমেডি’। বলিউডের হিট ছবির ফর্মুলা বাতলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, বচ্চনের ফর্মুলা মেনেই তিনি এ বছরের আর্থিক সমীক্ষা তৈরি করেছেন। পাতায় পাতায় সুব্রহ্মণ্যমের সাহিত্যপ্রীতি ও রসবোধের পরিচয়। নোট-বাতিল অধ্যায়ে শ্রীরামকৃষ্ণের উক্তি: ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’। সুব্রহ্মণ্যম আনন্দে ডগমগ, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর তৈরি আর্থিক সমীক্ষাকে অর্থনীতির স্নাতক স্তরের পাঠ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। সুব্রহ্মণ্যম ঠিক করেছেন, গোটা দেশের অর্থনীতির শিক্ষকদের সামনেই আর্থিক সমীক্ষার খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরবেন।

টু স্টেটস

একেবারে যেন চেতন ভগতের উপন্যাস। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মেয়ের বিয়ে সামনেই। পাত্রী বিহারি কায়স্থ পরিবারের, পাত্র দক্ষিণী ব্রাহ্মণ। পাত্রপাত্রী দু’জনে একসঙ্গে আমেরিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতেন। আগামী জুন মাসে বিয়ে। কিন্তু দক্ষিণী রীতি মেনে বিয়ে হবে একেবারে ভর দুপুরবেলায়। রবিশঙ্করকে তাঁর মন্ত্রকের কাজকর্ম সামলে ইদানীং প্রায়ই দেখা যাচ্ছে হবু বেয়াইমশাইয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে।

কন্যাদায়: নতুন দায়িত্বে রবিশঙ্কর প্রসাদ

আলোচনার বিষয়: বিয়ের প্রস্তুতি। আলাপের ফাঁকে ফাঁকে বেশ খাওয়াদাওয়াও চলছে— পেসারাট্টু, ধোসা, বড়া, ইডলি। রবিশঙ্কর নিজেও যেমন খাচ্ছেন, তেমনই মেয়েকেও নিয়ম করে দক্ষিণী খাবারের অভ্যাস করাচ্ছেন। বিয়ের পর নতুন দম্পতি বেঙ্গালুরুতে বাসা বাঁধবে।

জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়,
অনমিত্র সেনগুপ্ত, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন