দিল্লি ডায়েরি

এ বার গুজরাত ভোটে তারকা-প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম। উত্তরপ্রদেশ ভোটের সময়েও প্রচারে যাননি, দল সে বারও তাঁকে প্রচার থেকে বাদ দিয়েছিল। বর্ষীয়ান নেতা গত ৮ নভেম্বর নব্বই বছরে পা দিলেন। জন্মদিনে তাঁর বাসভবনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু অমিত শাহ আসেননি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:০০
Share:

উদ্যাপন: জন্মদিনে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন দৃষ্টিহীন শিশুকে

জন্মদিনে রাজনীতি থেকে দূরে আডবাণী

Advertisement

এ বার গুজরাত ভোটে তারকা-প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম। উত্তরপ্রদেশ ভোটের সময়েও প্রচারে যাননি, দল সে বারও তাঁকে প্রচার থেকে বাদ দিয়েছিল। বর্ষীয়ান নেতা গত ৮ নভেম্বর নব্বই বছরে পা দিলেন। জন্মদিনে তাঁর বাসভবনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু অমিত শাহ আসেননি। সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ীর মতো মন্ত্রীরা তো বটেই, কমলনাথ থেকে শরদ যাদব— বিরোধী দলের নেতারাও এসেছিলেন অনেকেই। আডবাণী অবশ্য ব্যস্ত ছিলেন দিল্লির উপকণ্ঠে ছোট্ট এক স্কুলের দৃষ্টিহীন ছাত্রদের সঙ্গে সময় কাটাতে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন, নিজের হাতে খাইয়েও দেন কয়েক জনকে। এ বার গুজরাতে প্রচারে যাবেন না, তবে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে যাবেন গাঁধীনগরে।

Advertisement

নতুন দায়িত্বে সম্বিত

বিজেপির মুখপাত্র, ওডিশার নবীন নেতা সম্বিত পাত্রকে তিন বছরের জন্য ওএনজিসি-র নন-অফিশিয়াল অধিকর্তা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। পশুচিকিৎসক সম্বিতের তেল ও গ্যাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না কোনও দিন। এখন অচেনাকে চেনার আনন্দ উপভোগ করুন তিনি, এমনটাই ভাবনা সরকারের। সম্বিত এত দিন ধরে বিজেপির মুখপাত্র, কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেননি। এখনও পর্যন্ত ক্ষমতার অলিন্দ থেকে দূরে থাকা ‘হ্যাভ-নট’ তিনি। পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও ওডিশার নেতা। শুধু তা-ই নয়, নবীন পট্টনায়কের বিরুদ্ধে তিনি দলের ছায়া-মুখ্যমন্ত্রী। গুঞ্জন— ধর্মেন্দ্র সফল হলে তাঁকে রাজ্যে পাঠিয়ে সম্বিতকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার কোনও পরিকল্পনা থাকতেও পারে সরকারের। ওএনজিসি-তে সম্বিতের নিয়োগের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কেউ, তাতে অবশ্য সম্বিত জিতেছেন। এখন আরও বড় লক্ষ্যের দিকে চেয়ে আশায় বুক বাঁধা।

এত দিনে চা

দেশের প্রতিটি রাজ্য সরকারের এক জন করে রেসিডেন্ট কমিশনার থাকেন দিল্লিতে। এই আইএএস অফিসারটি সাধারণত দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের দূত হিসেবে কাজ করেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সরকারি সেতু তিনিই। আবার বিভিন্ন রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনাররা নিজেদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন। কার্যত ঘরোয়া আবহে গড়ে উঠেছে রেসিডেন্ট কমিশনারদের ক্লাব। প্রতি মাসে এক-একটি রাজ্য তাঁদের অতিথিশালায় অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিদের চা-চক্র বা মধ্যাহ্নভোজনে ডাকেন। আড্ডা হয়, কাজও হয়। কিন্তু এত বছরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও দিন অন্য রাজ্যকে ডাকেনি। পশ্চিমবঙ্গের নতুন রেসিডেন্ট কমিশনার
কৃষ্ণ গুপ্ত এ বার সেই বৈপ্লবিক কাজটিই করছেন। নতুন বঙ্গভবনে আয়োজিত হতে চলেছে সব রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারদের নিয়ে এক চা-চক্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণের উৎসাহে খুশি।

বাসা বদল

ঠিকানা: দিল্লিতে তৃণমূলের সদর দফতর

৬১ সাউথ অ্যাভিনিউ। দিল্লিতে আপাতত এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতর। আগে ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউতে মুকুল রায়ের বাংলোটিই ছিল দলের সদর দফতর। তার পাশের বাংলোটিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির ঠিকানা। দোতলায় ডেরেক ও’ব্রায়েনের ফ্ল্যাট। বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে মুকুলের বাংলোই ছিল দলের যাবতীয় কার্যকলাপের কেন্দ্র। কিন্তু মমতা আগাম বুঝতে পারছিলেন মুকুলের ভবিষ্যৎ, তাই আগেভাগে রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমের নামে বরাদ্দ বাংলোয়— ৬১ নম্বর— দলের সদর দফতর স্থানান্তর। নাদিমুল হক উর্দু কাগজের সম্পাদক, তিনি থাকেন বঙ্গভবনে। আর এই বাংলোতে ডেরেকের গবেষণাকেন্দ্র, সাংবাদিক বৈঠক করার জন্য ঘর। নতুন দফতর এখন পুরোপুরি তৈরি।

অনিশ্চিত

কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন বোহরা দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার-এর প্রধান হলেন। বোহরা দিল্লির বহু ধরনের আমলা সংগঠনে বেশ সক্রিয়। গুঞ্জন, তাঁকে মোদী সরকার বলে দিয়েছে, কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদ থেকে তাঁর ছুটি। কিন্তু কে পরবর্তী রাজ্যপাল, আজও ঠিক হল না। প্রাক্তন ‘র’-প্রধান অমরজিৎ সিংহ দুলাত ইচ্ছুক ছিলেন, মোদী রাজি হননি। কাশ্মীরে মধ্যস্থতাকারী করা হল প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধান দীনেশ্বর শর্মাকে। তিনিই কি তবে পরবর্তী রাজ্যপাল হবেন? রাজ্যপাল হিসেবেই শ্রীনগরে মধ্যস্থতা করবেন?

জয়ন্ত ঘোষাল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন