অজিতের দলের কান্ডারি এখন পুত্রবধূই
এমনিতেই তিনি অনেক দিন হুইলচেয়ারে বন্দি। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিমানে করে দিল্লির এইমস-এও নিয়ে আসতে হয়েছিল অজিত জোগীকে। এরই মধ্যে ছত্তীসগঢ়ের রাজনীতিতে জোগীর দল জনতা কংগ্রেস-এর হাল ধরেছেন পুত্রবধূ রিচা জোগী। অজিত জোগীর পুত্র অমিত রাজ্যের বিধায়ক। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। জনতা কংগ্রেসের হয়ে রাস্তায় নামছেন রিচাই। কিছু দিন আগেই ছত্তীসগঢ় ভোটের রণকৌশল নিয়ে অজিত জোগী মায়াবতীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
নেত্রী: রিচা জোগী
বিজেপি চাইছে, জোগী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে মায়াবতীর সঙ্গে জোট করুন। তাতে বিজেপিরই লাভ। ছত্তীসগঢ়ের ভোটের পরে অজিত জোগীর দল গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠলে পার্টির হাল পুরোপুরিই রিচা ধরবেন কি না, তা নিয়ে দিল্লির রাজনীতিকদের মধ্যেও জল্পনা তুঙ্গে!
এর পরেও?
নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কেন্দ্রের যুগ্মসচিব পদে আইএএস-দের বাইরে বেসরকারি ক্ষেত্রের পেশাদারদের নিয়োগ করা হবে। বিজ্ঞাপন বার হতেই হইহই কাণ্ড। লাখ লাখ আবেদন আসছে, তার ঠেলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তারা জেরবার। এমনিতেই আমলাদের একাংশ বাইরে থেকে পেশাদার নিয়োগে আপত্তি তুলেছিল। পেশাদারদের নামে আসলে সঙ্ঘ পরিবারের লোকেদের নিয়োগ করা হবে, এমনও জল্পনা ছিল। তাতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী পিছু হঠেননি। এখন ম্যাকিনসে-র মতো কিছু উপদেষ্টা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তারাই প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে পেশাদার নিয়োগের ব্যবস্থা তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন, এর পরেও কেউ সঙ্ঘ পরিবারের লোক ঢোকানোর নালিশ করে দেখাক!
রসিক
কাজের জায়গায় তিনি কড়া, প্রয়োজনে প্রবীণ আইনজীবীদেরও ধমক দিতে ছাড়েন না। কিন্তু সেই সঙ্গে রসবোধেও জুড়ি নেই সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর। এজলাসে প্রায়ই তার নমুনাও মেলে। গরমের ছুটির পরে আদালত খুলতে এক প্রবীণ আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। বিচারপতি গগৈ প্রশ্ন করলেন, জামিন চাই কেন? উত্তর এল, মক্কেল উৎকণ্ঠা, হাইপারটেনশন ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বিচারপতি গগৈ বললেন, ও সব অসুখ আজকালকার দিনে সকলেরই থাকে। তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আসার কোনও দরকার নেই।
চ্যানেল চাই ওঁদেরও
লোকসভা, রাজ্যসভার নিজস্ব টিভি চ্যানেল রয়েছে। তাতে সংসদের অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার হয়। কিন্তু টিভিতে মুখ দেখাতে, প্রচারের আলোয় আসতে সাংসদরা বেশি করে হট্টগোল করেন বলে অনেক দিনের অভিযোগ। সম্প্রতি তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হট্টগোলের সময় ক্যামেরা থাকবে স্পিকারের চেয়ারের দিকেই। কোনও ভাবেই হট্টগোলকারীদের টিভি ক্যামেরায় দেখানো চলবে না। এ বার সুপ্রিম কোর্টেরও নিজস্ব চ্যানেল করার দাবি উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছে, অন্তত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির কি সরাসরি সম্প্রচার হতে পারে? কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্নও: হাততালি কুড়োতে, প্রচারের আলোয় আসতে আইনজীবীরাও আইনের যুক্তি ছেড়ে লম্বা চওড়া বুলি ঝাড়বেন কি?
কবির সমাধি
মমতাজ মহলের জন্য তাজমহল বানানো সম্রাট শাহজাহান নন, মুঘল আমলে আবদুর রহিম খান-ই-খানান’ই নাকি প্রথম তাঁর স্ত্রী মাহ বানু বেগমের জন্য সৌধ তৈরি করেছিলেন। বৈরাম খানের ছেলে আবদুর রহিম যে শুধু আকবরের নবরত্নসভার অন্যতম রত্ন ছিলেন তা-ই নয়, মন্ত্রী, সেনাপতির গুরুদায়িত্বও সামলেছেন। সেই কাজের পাশাপাশি লিখতেন কবিতা, যা ‘রহিম কে দোহে’ নামেই লোকমুখে ঘুরত। মৃত্যুর পরে স্ত্রীর পাশেই তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়। দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় খান-ই-খানানের সেই সমাধি প্রায় ভেঙে পড়তে বসেছিল। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে ও আগা খান ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে সেই সৌধ সংস্কারের কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। শোনা যায়, এই সৌধ দেখেই তাজমহলের নকশার অনুপ্রেরণা মিলেছিল। আপাতত সবুজ জালে ঢাকা সৌধ আগামী বছরেই প্রকাশ্যে আসবে।
প্রাচীন: আবদুর রহিমের সমাধিসৌধ
সুনজরে
গুজরাতের আমলারাই নাকি দেশ চালাচ্ছেন। মোদী জমানায় এ কথা নতুন কিছু নয়। তাতেই সিলমোহর বসিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নতুন অধিকর্তা নিযুক্ত হলেন রাজেন্দ্র কুমার। গুজরাত ক্যাডারের এই আমলা স্নাতক স্তরে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। যোগ নিয়ে ডক্টরেট করা হাসমুখ আঢিয়া নরেন্দ্র মোদীর প্রিয়পাত্র বলে পরিচিত। আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনার জন্যই কি রাজেন্দ্রও প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে!
জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী