সোশ্যাল মিডিয়া আর ফেক নিউজ়
২০১৪-তে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল। বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে। ২০১৯-এ কিন্তু ভিন্ন ছবি। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা বিজেপির প্রায় কুড়ি জন সাংসদকে ‘ফেক নিউজ়’-এর জন্য সতর্ক করেছে। অ্যাকাউন্ট খারিজের সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে। মূলত হিন্দি বলয়ে যে সব রাজ্যে ভোট, সেখানকার সাংসদ তাঁরা। রাহুল গাঁধী ও কংগ্রেসও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করে আসা ঋত্বিকা ভট্টাচার্য এ দেশে ‘স্বনীতি’ সংস্থার তরফে হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের পক্ষে নানা রাজ্যে গিয়ে স্কুল-কলেজে, এমনকি সাংসদদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, যাতে ফেক নিউজ় বন্ধ হয়। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার পলিসি হেড সম্প্রতি দিল্লি এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শোনা যাচ্ছে, সাংসদদের অ্যাকাউন্ট বন্ধের হুমকিতে মোদী ক্ষুব্ধ। এমনও পাল্টা জবাব শোনা যাচ্ছে, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ এ হেন দাদাগিরি করলে ভারতে ব্যবসা করবে কী করে! এটা নাকি অধিকারে হস্তক্ষেপ।
সক্রিয়: নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনেই দক্ষ
বং কানেকশন
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেনই। দু’দেশের ব্যবসায়ী, শিল্পসংস্থার সিইও-দেরও সম্মেলন হয়ে গেল আসিয়ান-এর পাশাপাশি। ছিল জবরদস্ত বং কানেকশনও। সম্মেলনের আয়োজক সাউথ এশিয়া বিজ়নেস গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের ব্যবসায়ী দলের প্রধান কলকাতার হর্ষ নেওটিয়া। আর দক্ষিণ এশিয়া বিজ়নেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান প্রসূন মুখোপাধ্যায় ছিলেন ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতাকারী। এই ‘কলকাতা কানেকশন’ নিয়ে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জোর আলোচনা।
এ বার কে
রাজস্থানে ভোট জমে গিয়েছে। বাতাসে ভাসছে, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বিদায় নাকি আসন্ন। এরই মধ্যে আর এক কাণ্ড। রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়ার স্ত্রী অনিতা দেবী বেশ ক’জন রাজ্য নেতাকে বলেছেন, কাটারিয়া পরিবারের স্বপ্ন একটাই। ক্যাবিনেটের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি থেকে এ বার তাঁর স্বামী মুখ্যমন্ত্রী হবেন! বসুন্ধরার সন্দেহ, কাটারিয়াকে নাচ্চাচ্ছে দিল্লি। সান্ধ্য কোনও আড্ডায় বসুন্ধরা নাকি বলেছেন, অগর ম্যায় ডুবে, ডুবেঙ্গে তেরে হি সাথ!
আত্মপ্রকাশ
মন্ত্রী থাকার সময়ে কাজের ফাঁকে কবিতা লিখতেন। এখন রাজ্যসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান, সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়েন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে যে কোনও বড় মামলায় তাঁকেই ভরসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বলে কবিতা কপিল সিব্বলকে ছেড়ে যায়নি। এ বার নিজের মাতৃভাষা পঞ্জাবিতে গীতিকার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ঘটল তাঁর। তাঁর লেখা, পঞ্জাবি গায়ক জ়োরাওয়ারের গাওয়া গান ‘কিউ রুস গয়া’ ইতিমধ্যেই হিট। কপিল বলছেন, এ আমার শেকড়ে ফেরা
নতুন মুখ
মূলস্রোতে: সাজ্জাদ লোন
কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আবদুল গনি লোন ২০০২ সালে নিহত হন। তাঁর ছেলে সাজ্জাদ বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছেড়ে রাজনীতির মূলস্রোতে আসতে চাইছেন। কিছু দিন ধরে বিজেপি ও আরএসএস তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। প্রথমে রাম মাধব, পরে অমিত শাহ নিজে যোগাযোগ করেন। সাজ্জাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন। বিজেপি সূত্র বলছে, মেহবুবা-পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বিজেপি সাজ্জাদকে কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবছে।
দিল্লিতে তিনি
দিল্লিতে তেমন আসতে চান না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অরুণ জেটলি তথ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর তৎকালীন সচিব, এনএফডিসি-র প্রাক্তন এমডি দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় তাঁকে সিরি ফোর্টে নিয়ে এসেছিলেন। এ বার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচারাল রিলেশনস-এর প্রাক্তন কর্তা বিজন মুখোপাধ্যায় প্রবাসী বাঙালিদের পক্ষ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন। বিজনবাবু নেহরুর সময় থেকে বিদেশমন্ত্রকে কাজ করেছেন, দিল্লিতে বঙ্গসংস্কৃতির কর্মযজ্ঞের ঋত্বিক তিনি। সম্প্রতি দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে সৌমিত্রকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। কন্যা পৌলমীকে নিয়ে তিনি পরিবেশন করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘বোষ্টমী’।