মুঘল উদ্যানে হাসছে গোলাপ আর টিউলিপ
জম্মু-কাশ্মীরের মুঘল উদ্যান, তাজমহলের উদ্যানে অনুপ্রাণিত হয়ে স্যর এডউইন লাটিয়েনস তৈরি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল উদ্যানের নকশা। রাষ্ট্রপতি ভবন স্থাপত্যশিল্পের উৎকর্ষের নিদর্শন হলে, ১৫ একর ব্যাপী মুঘল উদ্যান তার আত্মা। প্রতি বছরই শীতের এই সময়টায় দরজা খুলে যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল উদ্যানের। নজর কাড়ে রাশি রাশি গোলাপ, তার সঙ্গে নানান রঙের হাজার হাজার টিউলিপ। অন্যান্য ফুল, আরও নানা রকম গাছ তো রয়েইছে। এ বছর উদ্যান জুড়ে মূলত সাদা, হলুদ, কমলা ও লাল রঙের ফুলের সম্ভার। দিল্লির দূষণের কথা মাথায় রেখেই কি না কে জানে, এ বার মুঘল উদ্যানে প্রচুর সংখ্যায় বায়ু পরিশোধনকারী গাছ পুঁতা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকবে প্রেসিডেন্ট’স এস্টেট-এর অর্গানিক খামারের ফল ও শাকসব্জির প্রদর্শনীও।
শোভিত: রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল উদ্যান
ফোন বটে!
লোকসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বক্তৃতা দিচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে পিনপতন নীরবতা। মাঝে মাঝে সরকার পক্ষের মন্ত্রী সাংসদদের টেবিল চাপড়ানোর শব্দ শুধু। এরই মধ্যে হঠাৎ জোরে বেজে উঠল মোবাইল। বিস্মিত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আবিষ্কার করলেন, ফোনটি বাজছে তাঁর পকেটেই! কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়া তৃণমূলের এই নেতা তড়িঘড়ি অফ করলেন ফোন। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। পাশে বসা ডিএমকে নেতা ও সাংসদ ডি বেণুগোপাল সাগ্রহে জানতে চান, সেন্ট্রাল হলে তো জ্যামার রয়েছে। তা হলে কী ভাবে বাজল সুদীপবাবুর ফোন! শুনে সাংসদের গম্ভীর জবাব, ‘‘দিদি আমাদের এমন সিম দিয়েছেন, যে কোনও জ্যামার ভেদ করতে সক্ষম!’’ তাজ্জব বনলেও সুদীপবাবুর কথা বিশ্বাস করে পরে নাকি অন্য নেতাদের কাছে এই আশ্চর্য ফোনের গল্প করেছেন বর্ষীয়ান দ্রাবিড় নেতা!
পদ্ম-সম্মান
সরকারি আমলাদের নিজের সম্পত্তির পরিমাণ খোলসা করতে হবে। না হলে কে ঘুষের টাকায় সাতমহলা বাড়ি বানাচ্ছেন, তা জানা যাবে কী করে! প্রায় আদাজল খেয়ে পড়ে থেকে এই নিয়ম চালু করেছিলেন ভি কে শুঙ্গলু। সে সময় তিনি সিএজি। মনমোহন সিংহ ২০১০-এ কমনওয়েলথ গেমস শেষ হওয়ার পরের দিনই শুঙ্গলুকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সুরেশ কলমডীর নেতৃত্বে কমনওয়েলথ গেমসে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছিলেন মনমোহন। উল্টে বিপদ হয়েছিল। শুঙ্গলুর রিপোর্ট বিজেপির হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সেই শুঙ্গলু এ বার পদ্মভূষণ পেলেন। এ বছর পদ্ম-সম্মানের তালিকায় তিনি ছাড়া আর এক জনই প্রাক্তন আমলা রয়েছেন— কূটনীতিক, প্রাক্তন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর।
খারিজ
বিচিত্র সব জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতিরা তা শুনে হেসে ফেলেন। অনেক সময় রেগেও যান। এ বার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে দাবি তোলা হয়েছে, দেশে লাল রঙের পোশাক নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নিজেই শুনে থতমত। কারণ শোনার আগেই বিরক্ত মুখে বললেন, ‘‘কী? লাল রং? বিরক্তিকর! মামলা খারিজ।’’
বীবী
শিল্পপতিদের মধ্যে টুইটারে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আরপিজি এন্টারপ্রাইজ়ের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েন্কা। রসবোধের জন্য নেট-দুনিয়ায় তাঁর প্রবল খ্যাতি। এ বার তাঁকেও প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে দিয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সম্প্রতি সড়কের ধারে মাইল ফলকের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে লেখা, ‘বীবী, ২ কিলোমিটার’। মাহিন্দ্রা লিখেছেন, যিনি ছবির সেরা শিরোনাম দিতে পারবেন, তিনি মাহিন্দ্রার দু’খানা খেলনা গাড়ি পাবেন। তাঁকে চমকে দিয়ে লোকে জানিয়েছে, এ দেশে শুধু ‘বীবী’ নয়, ‘শালী’, ‘দেবরাণী’, ‘জেঠানী’, ‘নানা’, ‘বাপ’ নামের জায়গাও রয়েছে!
স্থানমাহাত্ম্য: ‘বীবী: ২ কিলোমিটার’
প্রস্তুতি
দুয়ারে লোকসভা ভোট। দু’সপ্তাহের মধ্যেই প্রচারের সুনামি আছড়ে পড়বে দেশে। ছবি, পোস্টারে মুখ ঢাকবে শহর-গ্রাম, মফস্সল। তারই প্রস্তুতিতে সংসদের ভিতরেই একদফা ফটো-শুট করলেন শরদ পওয়ার এবং কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। পেশাদার ফটোগ্রাফার সঙ্গে এনে, গাঁধীমূর্তিকে পিছনে রেখে ছবি তুললেন পিতা-কন্যা— হাঁটার ভঙ্গিতে, বা কথা বলার!