দিল্লি ডায়েরি

দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডের মুখচলতি নাম জমিদার পার্টি অফিস! আধুনিকতার মধ্যেও সেখানে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া চোখ এড়ায় না। কোনও কিছুতেই কার্পণ্য নেই। খোলামেলা পরিবেশ। সরকারে থাকাকালীন যেমন, বিরোধী দলের ভূমিকাতেও কংগ্রেস নেতারা দরাজই।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share:

বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে অফিসঘরে টহল

Advertisement

দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডের মুখচলতি নাম জমিদার পার্টি অফিস! আধুনিকতার মধ্যেও সেখানে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া চোখ এড়ায় না। কোনও কিছুতেই কার্পণ্য নেই। খোলামেলা পরিবেশ। সরকারে থাকাকালীন যেমন, বিরোধী দলের ভূমিকাতেও কংগ্রেস নেতারা দরাজই। কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরের গুঞ্জন, ক্ষমতা থেকে বেশ কিছু দিন দূরে থাকার ফলে কিছুটা পুঁজির টান চলছে। গোটা বিষয়টির দিকে অষ্টপ্রহর যিনি নজর রাখছেন তিনি দলের নতুন কোষাধ্যক্ষ আহমেদ পটেল। মোতিলাল ভোরার জায়গায় এসেছেন তিনি। চার দিকে কড়া প্রহরা দিচ্ছেন, যাতে খরচ কমে! দিনের শেষে ২৪ আকবর রোডে নেতাদের অফিসঘরগুলো ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। খালি ঘরে আলো পাখা জ্বলতে দেখলে নিজে হাতে সুইচ বন্ধ করে দিচ্ছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে হবে তো!

এক কপি বই

Advertisement

আশির দশকের কথা। ভিয়েতনামে বিশ্ব যুব সম্মেলন, ভারত থেকে গিয়েছেন যুব কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির তামিলনাড়ুর এক কমিউনিস্ট তরুণও, সিপিআই-এর ডি রাজা। দু’জনেই সাধারণ ঘরের সন্তান। তখনই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সেই ডি রাজা এখন রাজ্যসভার সদস্য। বন্ধুত্ব আজও অটুট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি এসে সংসদে গেলেই সেন্ট্রাল হল-এ সময় করে রাজার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে যান। দিল্লিতে সম্প্রতি মমতার বই ইন্ডিয়া ইন ডিসট্রেস প্রকাশিত হল। পুরনো বন্ধুকে এক কপি বই পাঠিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

ঠিকানা: ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতর। ডান দিকে, আহমেদ পটেল

পাঠক

রাজনীতি পাঠকও তৈরি করে। ইলাহাবাদের অধ্যাপক বদ্রী নারায়ণ কাঁসিরাম: লিডার অব দ্য দলিতস নামে বই লিখেছিলেন পাঁচ বছর আগে। সেই বই পড়ছেন অখিলেশ যাদব। অখিলেশ মায়াবতীর সঙ্গে জোট করেছেন। কাঁসিরামের সামাজিক ন্যায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে চান, সে জন্যেই কি কাঁসিরামের জীবনী পাঠ? জানালেন, এই বই তাঁর আগেই পড়া। এখন ফিরে পড়ছেন।

একসঙ্গে

মহম্মদ আবদাল আখতার ও অনন্যা দাস। কর্তা আর গিন্নি দু’জনেই আইএএস। অনন্যা দাস এমনিতে অসমের, এত দিন ছিলেন গুজরাত কাডারে। আর মহম্মদ আবদাল আখতার ওড়িশার, ছিলেনও ওড়িশা কাডারেই। ২০১৫-র ব্যাচের দুই তরুণ আইএএস স্বামী-স্ত্রী হলেও দুই কাডারে গিয়ে পড়ায় তাঁদের আলাদা থাকতে হচ্ছিল। তবে এ বার সদয় হয়েছে সরকার। অনন্যাকে গুজরাত থেকে ওড়িশা কাডারে বদলি করা হয়েছে। আর আলাদা থাকতে হবে না স্বঘোষিত দুই খাদ্যরসিককে।

মধুর প্রতিশোধ

বদলা একেই বলে। বিরাট কোহালির দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ান ডে সিরিজ় হেরেছে সম্প্রতি। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে অস্ট্রেলীয় দূতাবাসের ক্রিকেট ম্যাচে তার মধুর প্রতিশোধ নিলেন সাউথ ব্লকের কূটনীতিকরা। দশ উইকেটে হারল অস্ট্রেলিয়ার টিম। প্রথমে ব্যাট করে ১৮ ওভারেই ১৫২ রান করে আউট হয়ে যায় তারা। ভারতের তরুণ কূটনীতিকরা জবাবে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন। ক্রিকেট ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন আইএফএস অফিসার অংশুমান গৌর।

রাজনীতির রং

নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ রয়েছেন। আছে বাহুবলীও। দিল্লির সদর বাজারে হোলির বাজার খুলতেই দেখা গেল, এ বার নানা রঙের পিচকারির গায়ে কোথাও মোদী, কোথাও যোগীর ছবি। ‘বাহুবলী’ সিনেমার দৃশ্যও রয়েছে। শুধু মোদী নন। তাঁর সঙ্গে ‘বেটি বঁচাও, বেটি পঢ়াও’-এর মতো সরকারি প্রকল্পের নামও রয়েছে। ভোটের মরসুমে হোলিতেও রাজনীতির রং।

অভিনব: পিচকারির গায়ে যোগী, মোদী

খেলব হোলি

মাসুদ আজহারের উপর নিষেধাজ্ঞায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বার বার বাধা দিচ্ছে চিন। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে। তা বলে কি হোলি খেলতে মানা? একেবারেই নয়। দিল্লিতে চিনের রাষ্ট্রদূত লুও ঝাওহুই হোলির আগের শেষ রবিবারে দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে হোলি খেললেন। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অতিথিরাও। বুরা না মানো হোলি হ্যায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন